নিজস্ব প্রতিনিধি: বকেয়া ডিএ (DA) মামলা নিয়ে ফের আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য। কলকাতা হাইকোর্টের (HIGH COURT) ডিভিশন বেঞ্চের কাছে রায় পুনর্বিভবেচনার আবেদন জানায় সরকার। উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল, আগামী ৩ মাসের মধ্যে মিটিয়ে দিতে হবে বকেয়া। এই মামলাতেই ফের আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য (STATE)। রাজ্যের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে, বকেয়া ডিএ মেটানোর জন্য আরও কিছু সময় দেওয়া হোক রাজ্যকে।
গত ২০ মে ডিএ মামলায় বকেয়া মেটানোর রায় দিয়েছিলেন বিচারপতি হরিশ ট্যাণ্ডন এবং বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ। উল্লেখ্য, গত ২০১৯ সালের ২৬ জুলাই স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল ডিএ নিয়ে যা রায় দিয়েছিল সেই রায়’ই বহাল রেখেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি বলেছিলেন, মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ডিএ নির্ধারণ করতে হবে রাজ্যকে। উল্লেখ্য, ডিএ মেটানোর সময়সীমা শেষ হচ্ছে আগামী ২০ অগাস্ট।
উল্লেখ্য, গত ২০ মে রাজ্য সরকারের তরফে আদালতে জানানো হয়, তহবিল না থাকায় উঁচু হারে ডিএ দেওয়া যাচ্ছে না। এর পর রাজ্যের যুক্তি গ্রহণযোগ্য নয় বলে জানায় কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্ট জানায়, কেন্দ্রীয় হারেই ডিএ দিতে হবে রাজ্য সরকারি কর্মীদের। মহার্ঘ্য ভাতা সরকারি কর্মচারীদের সাংবিধানিক এবং মৌলিক অধিকার। রাজ্য সরকারের আইনজীবীর যুক্তি খারিজ করে দিয়ে আদালত জানায়, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে মহার্ঘ্য ভাতা অন্যরকম ছিল। ১৯৪৭ সালে প্রথম বেতন কমিশন গঠন হওয়ার পর থেকেই মহার্ঘ্য ভাতা বেতনের অংশ হিসাবে বিবেচিত। জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধি হলে সরকারকে ডিএ দিতেই হবে। বকেয়া ডিএ মামলার শুনানিতে এদিন হাইকোর্টের নির্দেশ, ‘রাজ্য সরকার অল ইন্ডিয়া ইনডেক্স অনুযায়ী ডিএ দিতে বাধ্য। রাজ্য সরকারি কর্মীরা ডিএ পাবেন ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী। ৩ মাসের মধ্যেই রাজ্য সরকারকে কর্মীদের ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে।’ সেই সময় এগিয়ে আসছে। চলতি মাসেই ২০ তারিখ ফুরোবে মেয়াদ। তার আগেই আদালতের দ্বারস্থ হয়ে ডিএ’র বকেয়া মেটানো নিয়ে আরও কিছু সময় চেয়েছে রাজ্য।