নিজস্ব প্রতিনিধি: দ্বিতীয় মোবাইল খুঁজে পেলেই কি গ্রেফতার হবেন তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা ? এই প্রশ্নই এখন ঘোরাফেরা করছে সর্বত্র। সিবিআইয়ের গতিবিধি তেমনটাই বলে মনে করছেন প্রাক্তন গোয়েন্দাদের একাংশ। তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে সিবিআই যে কঠোর তা আজ সকালেই বোঝা গেছে। একজন জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গেলে যে আইনের গুটি সাজাতে হয় তা সকাল থেকে করেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। এবার এক নজরে দেখে নেওয়া যাক রবিবার সারাদিন সিবিআইয়ের(CBI) পদক্ষেপ কি কি ছিলো।
(১) সকাল ৭.৩৫ ( আনুমানিক) সিবিআই পুকুরে ফেলা দেওয়া একটি মোবাইল উদ্ধার করে।(২) তারপর কি ভাবে মোবাইল ফেলে দেওয়া হয় সেই ঘটনার পুনঃনির্মাণ করেন তদন্তকারীরা ।(৩) এমনকি বিধায়ক পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ করে সেই ঘটনার পুনঃনির্মাণ করানো হয়।(৪) গোটা ঘটনার ভিডিও(Video) ফটোগ্রাফি করে সিবিআই। (৫) তারপরে বিধায়ককে(MLA) দিয়ে সাক্ষর করান তদন্তকারীরা।
এখনো দ্বিতীয় মোবাইলের সন্ধান করছে CBI। মোবাইলের সন্ধানে স্থানীয় এক মৎস্যজীবী সহ চার শ্রমিক পুকুরে কাজ করছেন। দ্রুত মোবাইলটি উদ্ধার করতে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি দিয়ে পুকুরে সার্চ করছে তারা। লাগানো হয়েছে বড় বড় জোরালো আলো কেন্দ্রীয় জামান ও সিবিআই অফিসারদের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।রবিবার বিকেলে দ্বিতীয় মোবাইল খুঁজতে পুকুরে নামানো হয় জেসিবি মেসিন । তাই প্রশ্ন উঠছে দ্বিতীয় মোবাইলটি উদ্ধারের পরে কি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সিবিআই। অন্যদিকে সিবিআই সূত্রের খবর মুর্শিদাবাদ ও বীরভূমে বিপুল পরিমাণে সম্পত্তির খোঁজ পেয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
তার বেশকিছু নথি উদ্ধার করেছে তারা। তারও সত্যতা যাচাই করছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এদিকে বিধায়ক জীবন কৃষ্ণ সাহার(Jiban Krishna Saha) বাড়িতে এই সিবিআই তল্লাশি অভিযান বাইরে থেকে দেখতে সেখানে ভিড় জমাচ্ছেন স্থানীয় গ্রামবাসীরা। প্রায় বেলা বসে গিয়েছে সেখানে হচ্ছে বুড়ি চপ ও অন্যান্য খাবার দেদার। অন্যদিকেনিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পরের দিনই তৃণমূলের(TMC)প্রাক্তন ব্লক সভাপতি বিভাস অধিকারীকে কলকাতায় তলব করে সিবিআই। বিভাসের বাড়িতে রবিবারও সিবিআইয়ের স্পেশাল টিমের তল্লাশি অভিযান চলছে।