নিজস্ব প্রতিনিধি: কথা দিয়েছিলেন ২১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে(100 Days Work Project) কাজ করেও মজুরি(Wages) না পাওয়া বাংলার(Bengal) ২১ লক্ষ মানুষকে তাঁদের প্রাপ্য মজুরির টাকা দিয়ে দেবেন। সেই ঘোষণা মোতাবেক রাজ্য বাজেটে সেই খাতে ৩৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দের কথাও জনানো হয়। কিন্তু ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের সেই রাজ্য বাজেটের বিতর্কে অংশ নিয়ে এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) জানালেন, ২১ ফেব্রুয়ারি নয়, ১০০ দিনের কাজের মজুরি মিলবে ১ মার্চ থেকে। একই সঙ্গে তিনি এটাও জানিয়েছেন বাংলার যে ১১ লক্ষ মানুষের নাম কেন্দ্রের আবাস যোজনা(PMGAY) প্রকল্পের মধ্যে ওঠার পরেও কেন্দ্রের তরফে টাকা দেওয়া হয়নি তাঁদেরও রাজ্য সরকার বাড়ি বানানোর জন্য টাকা দেবে আগামী মে মাস থেকে। দফায় দফায় সেই টাকা দেওয়া হবে।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানিয়েছেন, ১ ফেব্রুয়ারির বদলে ১ মার্চ থেকে ১০০ দিনের কাজের টাকা দেওয়া হবে। কেননা হিসাব করতে গিয়ে দেখা গিয়েছে যে ২১ লক্ষ মানুষ তাঁদের প্রাপ্য মজুরি থেকে বঞ্চিত হননি। সংখ্যাটা আরও বেশি। তাই সমীক্ষা চালানোর পরে দেখা যাচ্ছে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে কাজ করেও মজুরি না পাওয়া মানুষের সংখ্যা এই রাজ্যে প্রায় ২৪ লক্ষ ৫০ হাজার। ফলে গোটা প্রক্রিয়া শেষ করতে আরও কিছুটা সময় লাগবে। তাই ২১ ফেব্রুয়ারির বদলে ১ মার্চে টাকা দেবে রাজ্য। যদিও মুখ্যমন্ত্রী এটা জানাননি যে বাড়তি সাড়ে ৩ লক্ষ মানুষের মজুরির জন্য যে অতিরিক্ত টাকা লাগবে তা কোথা থেকে বরাদ্দ করা হবে এবং ঠিক কত টাকা তার জন্য বরাদ্দ করা হবে। তবে অনুমান করা হচ্ছে যে, রাজ্যের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য তাঁর বাজেট বিতর্কের জবাবী ভাষণে এই বিষয়ে উল্লেখ করলেও করতে পারেন।
একই সঙ্গে জানা গিয়েছে, প্রধানমন্তড়ী গ্রামীণ আবাস যোজনার খাতে বাংলার যে ১১ লক্ষ পরিবারের নাম চূড়ান্ত তালিকায় উঠেছিল তাঁদের শেষ পর্যন্ত কেন্দ্র সরকার বাড়ি বানাবার জন্য টাকা দেয় কিনা তা দেখার জন্য রাজ্য সরকার আরও ২ মাস অপেক্ষা করবে। এপ্রিলের মধ্যে কেন্দ্র সরকার সেই টাকা না দিলে মে মাস থেকে রাজ্য সরকারই দফায় দফায় ওই টাকা রাজ্যের তরফেই ওই ১১ লক্ষ পরিবারকে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। যদিও প্রশ্ন থাকছে মে মাসে যখন লোকসভা নির্বাচন চলবে তখন কী রাজ্য সরকার এই টাকা পাঠাতে পারবে? নাকি নির্বাচন শেষ হলে তবেই রাজ্য টাকা দিতে পারবে!