নিজস্ব প্রতিনিধি: শেষ রক্ষা আর হল না। ধরা পড়লেন দুই বন্ধুই। কড়া প্রহরার মধ্যেও মোবাইল নিয়ে ঢুকে গিয়েছিল দুইজনই। এক বন্ধুকে সাহায্য করবে বলেই অন্যজন ঢুকেছিল পরীক্ষাকেন্দ্রে। কিন্তু শেষ রক্ষা আর হল কই। স্কুলের শিক্ষাকর্মীরাই মোবাইলসহ তাদের পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। আর পুলিশের ধারনা এরাই এবারের TET’র প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায়(Question Leak Incident) মূল সারথি। নজরে নদিয়া(Nadia) জেলার ধানতলা থানার(Dhantala PS) বহিরগাছি(Bahirgachi) এলাকা থেকে গ্রেফতার হওয়া দুই বন্ধু সন্দীপ কুটি ও দেবাশিষ মৃধা। দুইজনেরই কৃষ্ণনগর কালিনগর উচ্চ বিদ্যালয়ে টেট’র সিট পড়েছিল। আর সেখান থেকেই ফাঁস হয় TET’র প্রশ্ন। এদিনই দুইজনকেই কৃষ্ণনগর জেলা আদালতে তোলা হচ্ছে। সব থেকে বড় বিষয় গ্রেফতার হওয়া দুই যুবকই(Two Arrested Youth) সক্রিয় বিজেপি কর্মী(Active BJP Worker) হিসাবে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি তৃণমূলেরও।
নির্বিঘ্নেই রবিবার সম্পন্ন হয়েছে রাজ্যের প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষিকা পদের নিয়োগের জন্য নেওয়া পরীক্ষা TET। এবার ৩ লক্ষের বেশি পরীক্ষার্থী এদিন পরীক্ষায় বসেছেন। কিন্তু পরীক্ষা শেষ হতেই অভিযোগ ওঠে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ফাঁস হয়েছে TET’র প্রশ্ন। সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হওয়া প্রশ্ন পত্রের সঙ্গে মিল রয়েছে মূল প্রশ্নপত্রের, দাবি পরীক্ষার্থীদের একাংশের। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদেরও দাবি, তাঁরাও বিষয়টি দেখেছেন। জানা গিয়েছে, TET’র প্রশ্ন ঘুরে বেড়াচ্ছে Facebook-এ। পরীক্ষার্থীদের একাংশের দাবি, Facebook-এ ‘WB TET SLST SET CTET preparation’ নামের একটি Page-এ পোস্ট করা হয় একটি প্রশ্ন পত্র। এরপর আজ পরীক্ষা দিয়ে বের হওয়ার পর চাকরি প্রর্থীরা দাবি করছেন টেটের ‘A’ সেটের মূল প্রশ্নের সঙ্গে মূল প্রশ্নপত্রের হুবহু মিল রয়েছে ভাইরাল হওয়া ওই প্রশ্নের।
সূত্রের খবর, ভাইরাল হওয়া প্রশ্নপত্রের ১২২, ১২৪, ১২১ সহ একাধিক প্রশ্ন ভাইরাল হয়েছে। দুপুর ১টা থেকে এই প্রশ্নগুলি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। পর্ষদ সূত্রে জানা যাচ্ছে, গোটা বিষয়টি তাঁরা বুঝতে পেরেছেন। তবে তাদের পরিষ্কার বক্তব্য যে সময় প্রশ্নপত্র ভাইরাল হয়েছে, সেই সময় পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিচ্ছেন। ফলে তাঁরা উপকৃত হননি। কোনও অসাধু চক্র ইচ্ছাকৃত পর্ষদকে কালিমালিপ্ত করতে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। তবে শুধু কলকাতা নয়, হাওড়া, জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি সব জায়গা থেকেই বেরিয়ে পরীক্ষার্থীরা বলছেন ভাইরাল হওয়া প্রশ্নপত্রের সঙ্গে মিল রয়েছে মূল প্রশ্নপত্রের। এদিকে গ্রেফতার হওয়ার পরে দেবাশিষ জানিয়েছে, তার কাছে মোবাইল ছিল না। ছিল সন্দীপের কাছে। আবার সন্দীপের দাবি, ;আমি সাহায্য করতে গিয়েছিলাম ওকে। তাই মোবাইল নিয়ে ঢুকেছিলাম। শিক্ষকরা দেখতে পেয়ে যান।’