নিজস্ব প্রতিনিধি: ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটে পুরুলিয়াজুড়ে বয়ে গিয়েছিল পদ্মঝড়। জেলার বেশির ভাগ গ্রাম পঞ্চায়েত চলে গিয়েছিল বিজেপির দখলে। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনেই জেলার ১মাত্র লোকসভা কেন্দ্রটি বিজেপির দখলে চলে যায়। শুধু তাই নয়, জেলার ৯টি বিধানসভা কেন্দ্রেই লিড তুলেছিল বিজেপি। কিন্তু একুশের বিধানসভা নির্বাচনে সেই ছবি কিছুটা হলেও বদলেছে। জেলার ৬টি আসন বিজেপির দখলে গেলেও ৩টি আসনে জয়ী হয় তৃণমূল। গত বছরের পঞ্চায়েত নির্বাচনে দেখা যায় তৃণমূল তার হারানো মাটি ফের ফিরে পেতে শুরু করেছে। জেলা পরিষদ থেকে পঞ্চায়েত সমিতি মায় গ্রাম পঞ্চায়েতেও তৃণমূলের দাপট প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। এবারের লক্ষ্য বিজেপির হাত থেকে লোকসভা কেন্দ্র ছিনিয়ে নেওয়া। সেই লক্ষ্যেই এদিন লোকসভা নির্বাচনের(General Election 2024) প্রাক্কালে পুরুলিয়ায়(Purulia) শিমুলিয়ার ব্যাটারি গ্রাউন্ডে সভা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। সেই সভা থেকেই তিনি উন্নয়নের বার্তা থেকে নিয়োগ বার্তাও উঠে এল।
এদিনের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘পরীক্ষা ১টায় শেষ হওয়ার পরে আমি বক্তৃতা রাখা শুরু করলাম। সকল পরীক্ষার্থীকে আমার শুভেচ্ছা। জঙ্গল আদিবাসীদের(Tribal) অধিকার। সেই অধিকার আমরা কাউকে ছিনিয়ে নিতে দেব না। আদিবাসীদের জমি কোনওমতেই কেড়ে নেওয়া হবে না, আদিবাসীদের জমি হস্তান্তরও করা যাবে না। আদিবাসী উন্নয়ন পর্ষদ, বাউরি উন্নয়ন পরিষদ, কুরমালি বোর্ড এবং সংখ্যালঘু উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে বাড়ি করে দেওয়া হচ্ছে। তফসিলি উপজাতি তকমার জন্য মাহাতদের দীর্ঘদিনের দাবি আছে, এটা কেন্দ্রের কাজ আমাদের হাতে নেই। তবে আমরা একটা সমীক্ষা শুরু করেছি। সারি ও শর্না ধর্মকে স্বীকৃতি না দিলে আন্দোলন করব। আজকে অনেক প্রকল্প করা হল সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার প্রায় ৭০০ প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেছি। পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরে ৭২ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ হচ্ছে। অনেকে সেখানে চাকরি পাবেন। এখানকার অলচিকি মাধ্যমের(Alchiki Language) স্কুলের জন্য ৪৯জন শিক্ষক নিয়োগের কথা ঘোষণা করছি। ২৫১৫ কোটি দেওয়া হল পানীয় জল প্রকল্পের জন্য।’