নিজস্ব প্রতিনিধি: যে পটাশপুরের বুকে কিছুদিন আগেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে ‘গো ব্যাক’ শ্লোগান শুনতে হয়েছিল সেই পটাশপুরেই এবার এক তৃণমূল নেতাকে শুনতে হল প্রাণনাশের হুমকি। ঘটনাটিকে ঘিরে রীতিমত শোরগোল পড়ে গিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রাজনীতিতে। ঘটনার পিছনে কে বা কারা রয়েছে তা নিয়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, ঘটনার পিছনে শুভেন্দু অনুগামী এক বিজেপির কর্মী রয়েছেন। কেননা তার হোয়াটসঅ্যাপ থেকেই ওই হুমকি এসেছে। ইতিমধ্যেই ওই যুবকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
জানা গিয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা মহকুমার পটাশপুর-১ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি পীযূশ কান্তি পণ্ডা কয়েকদিন আগে হোয়াটসঅ্যাপে প্রাণনাশের হুমকি পান। তাতে বলা হয়েছিল, ‘টিএমসির দালাল। পটাশপুরে মাটিতে তোকে জ্যান্ত কবর দেব, আসছি। কিছু সময় অপেক্ষা।’ যে যুবকের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর থেকে ওই হুমকি ধমকি এসেছিল তার নাম শানু হুদাই৷ তার বাড়ি পটাশপুর থানার বড়হাট এলাকায়৷ তবে সে এখন আর পটাশপুরে থাকে না। কর্মসূত্রে রাজস্থানে থাকে ওই যুবক। সেখান থেকেই সে ওই হুমকি ধমকি দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই বিষয়ে পীযূশবাবু জানিয়েছেন, ‘আমার ফোন নম্বরের হোয়াটসঅ্যাপে এক ব্যক্তি প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ভিডিয়ো পাঠায়। বিজেপিই চক্রান্ত করে এই খুনের হুমকি দিয়েছে। পুলিশ সঠিকভাবে তদন্ত করলেই প্রকৃত সত্য সামনে উঠে আসবে৷’
যদিও এই ঘটনায় পুলিশ এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার না করায় ক্ষোভ ছড়িয়েছে তৃণমূলে। পটাশপুরে পীযুশবাবুর যথেষ্ট পরিচিতি ও দাপট রয়েছে। এক সময়কার এই বাম দুর্গে তৃণমূলকে শক্ত মাটির ওপর প্রতিষ্ঠা করার পিছনে তার ভূমিকার কথা স্বীকার করেন জেলা তৃণমূলের নেতারা। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে পটাশপুরে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী উত্তম বারিককে জেতানোর পিছনেও পীযূশ কান্তির যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল বলে সকলে সেখানে স্বীকারও করেন। মূলত পীযূশবাবুর সাংগঠনিক দক্ষতার জন্যই সেখানে শুভেন্দু অধিকারীকে মাঠে নামিয়েও বিশেষ সুবিধা করে উঠতে পারছে না বিজেপি। উল্টে শুভেন্দুকেই সেখানে ‘গো ব্যাক’ শ্লোগান শুনতে হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন সেই ঘটনার জেরেই পীযূশবাবুকে এই প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে।