নিজস্ব প্রতিনিধি: মূর্তি চুরি হয়েছিল বহুকাল আগেই। সেই মূর্তিই নানা হাতবদলে এবার নেপালে পাচার করার প্রক্রিয়া শুরু করেছিল একটি পাচার চক্র। সেই চক্রেরই বেশ কয়েকজন এসে ঘাঁটি গেড়েছিল শিলিগুড়ির কান ঘেঁষে থাকা গ্রাম গোঁসাইপুরে। সেখানে থেকেই চলছিল মূর্তিটিকে নেপালে পাঠানোর প্রক্রিয়া। ক্রেতাও ঠিক হ্যে গিয়েছিল। মূর্তিটির দাম ঠিক হয়েছিল ৬ কোটি টাকা। ঠিক করা হয়েছিল মূর্তিটি নেপালে নিয়ে গিয়ে তা ২ কোটি ডলারে বিক্রি করা হবে ইউরোপের কোনও এক ধনী ব্যবসায়ীকে। কিন্তু ঠিক সময়ে সেই খবর পেয়ে যায় পুলিশ। তার জেরে মূর্তিটি পাচারের আগেই পুলিশের হাতে চলে আসে। একইসঙ্গে পুলিশ ২জনকে গ্রেফতার করতেও সক্ষম হয়েছে। বুধবার রাতে শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ ও বাগডোগরা থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই মূর্তিটি উদ্ধার করার পাশাপাশি ২জনকে গ্রেফতার করে, যাদের একজন আবার সিভিক ভলান্টিয়ার। জানা গিয়েছে ওই মূর্তিটি পালযুগের ও তা ভগবান বিষ্ণুর মূর্তি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, যে ২জন পুলিশের হাতে মূর্তি সমেত গ্রেফতার হয়েছে তাদের নাম ইসমাইল হক ও অনুপ মন্ডল। ইসমাইল আবার উত্তর দিনাজপুর জেলার রাজগঞ্জ থানার সিভিক ভলান্টিয়ার। অনুপ কোচবিহার জেলার হলদিবাড়ির বাসিন্দা। তাদের সঙ্গে আরও চারজন ছিল তবে তারা শেষ মুহুর্তে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। দৃত দুইজনকে এদিনই শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে তোলা হচ্ছে। মূর্তিটি কষ্ঠিপাথরের হওয়ায় বিদেশের বাজারে বেশ ভাল দামেই বিক্রি হত বলে মনে করা হচ্ছে। পুলিশের অনুমান, এই ঘটনার সঙ্গে বড়সড় পাচারচক্র জড়িত। হয়তো এই ঘটনার শিকড় ভিন্ন রাজ্যে মায় নেপাল ও ভূটানের মতো দেশেও ছড়িয়ে থাকতে পারে।