নিজস্ব প্রতিনিধি: শ্মশান থেকে উদ্ধার প্রেমিক-প্রেমিকার ঝুলন্ত দেহ। যা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরের সুবোধপুর এলাকায়।
প্রেম থাকলেও হয়নি বিয়ে। পরিবারের চাপে প্রেমিককে রেখে বিয়ে করতে হয়েছিল অন্য পুরুষকে। আর সেই কষ্টে তিন বছরের শিশুকে রেখে প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে আত্মঘাতী হলেন যুবতী। পুলিশ সূত্রে খবর মৃত যুবতীর নাম সোনামণি প্রধান। তাঁর বয়স ২৬ বছর। মৃত প্রেমিকের নাম প্রশান্ত সামন্ত। তাঁর বয়স ২৭ বছর। রবিবার পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর থানা এলাকার সুবোধপুরের শ্মশানে এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, কয়েক বছর আগে পরিবারের চাপে প্রেমিককে ছেড়ে প্রতিবেশী এক যুবককে বিয়ে করতে বাধ্য হয়েছিলেন সোনামণি। তবে বিয়ে হয়ে গেলেও যোগাযোগ রেখে চলেছিলেন দুজনেই। স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, সোনামণি ভগবানপুরের বাবিয়া গ্রামের বাসিন্দা। পাশের গ্রাম পশ্চিম ঘোষপুরের যুবক প্রশান্তর সঙ্গে তাঁর বেশ কয়েক বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু প্রশান্ত আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী না হওয়ায় তাঁর সঙ্গে সোনামণির বিয়ে দিতে অস্বীকার করেন যুবতীর বাড়ির লোকজন। পরিবারের চাপে পড়ে খাগা গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয় সোনামণির। সোনামণির সঙ্গে যে যুবকের বিয়ে হয় তিনি কর্মসূত্রে মুম্বইতে থাকেন। বিয়ের পর সোনামণি স্বামীর সঙ্গে মুম্বই পাড়ি দিয়েছিলেন। সেখানে বেশ কয়েক বছর স্বামীর সঙ্গে থাকার পর পুত্রসন্তানকে নিয়ে চার মাস আগে বাপের বাড়ি আসেন তিনি। মুম্বই থেকে বাপের বাড়ি ফিরে আসার পর প্রশান্তর সঙ্গে সোনামণির যোগাযোগ বাড়ে। কিছুদিন পর তাঁর স্বামীর কাছে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার মধ্যেই এই চরম পদক্ষেপ নিলেন প্রেমিক-প্রেমিকা।
জানা গিয়েছে কয়েকদিন আগে বাবিয়া গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন সোনামণি। শনিবার রাতে সেখান থেকে নিখোঁজ হয়ে যান তিনি। অনেক খোঁজাখুজির পরেও খোঁজ মেলেনি সোনামণির। অবশেষে রবিবার সুবোধপুরের নির্জন শ্মশানে স্থানীয়রা যুগলের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ভগবানপুর থানার পুলিশ। মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।