নিজস্ব প্রতিনিধি: সারা পুকুর পানাতে ভরে। বেশ কিছু মাছ রয়েছে সেই পুকুরে। বিশেষ প্রয়োজন না পড়লে স্নান, কাপড়কাচা তেমন ভাবে হয় না। আর সেই পুকুরেই কিনা সাঁতার কাটছে বিশালাকার কুমীর(Crocodile)। রবিবার সকালে দক্ষিণ ২৪ পরগনা(South 24 Pargana) জেলার রায়দিঘীর(Raydighi) কঙ্কনদিঘিতে(Kankandighi) সেই কুমীর দেখতে ভিড় জমান এলাকার বাসিন্দারা। গ্রামের বাসিন্দারা বন দফতরের খবর দিলে কর্মীরা এসে আস্ত কুমীরটিকে নিয়ে যায়। পরে তাঁকে ঠাকুরানি খালে ছেড়ে দেওয়া হয়। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে সুন্দরবন এলাকা থেকে প্রথমে বিদ্যাধরী ও পরে মণি নদী ধরে ওই কুমীরটি কোনও ভাবে কঙ্কণদিঘী এলাকায় চলে আসে। তারপর রাতের আঁধারে সে নদী থেকে উঠে গ্রামের ভিতরে ওই মিষ্টি জলের পুকুরে আশ্রয় নেয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ‘শনিবার সকালে তারা কঙ্কনদিঘিতে বিশালাকার কুমীরটিকে দেখতে পান। স্থানীয় বাসিন্দা অনিল দাসের পুকুরে সেই কুমীরকে সাঁতার কেটে বেড়াতে দেখে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। অনিলবাবু জানিয়েছেন, ‘আমর বাড়ির পাশে থাকা পুকুরটি তেমন ভাবে ব্যবহার করা হয় না। কিছু মাছ ছাড়া হলেও খুব একটা ব্যবহার না করাতে সারা পুকুর পানায় ভরে গিয়েছে। যেহেতু সারা পুকুর পানাতে ভরা তাই হয়ত কুমীর আমাদের পুকুরেই তাঁর আস্তানা করে ফেলেছে। আমরা ব্যাপারটি বনদফতরকে জানালে বনকর্মীরা আজ এসে কুমীরটিকে নিয়ে যায়।’
অন্যদিকে বনদফতরের আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, কুমীরটি প্রায় ৮ ফুট লম্বা। বিশালাকার স্ত্রী কুমীরটাকে তাঁরা মোটা কাছির সাহায্যে জল থেকে তুলেছেন। বন দফতরে কুমীরটিকে নিয়ে আসা হলেও এদিন বেলার দিকেই তাকে ঠাকুরানি খালে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে বিশালাকার ওই কুমীরটি পুকুরে কীভাবে আসলো সে ব্যাপারে গ্রামের বাসিন্দারা কিছুই বলতে পারেননি। তবে বন দফতর এলাকার মানুষকে সতর্ক করে দিয়েছেন যাতে তাঁরা আশেপাশের পুকুরগুলিতে একটু লক্ষ্য রাখেন।