নিজস্ব প্রতিনিধি: ৩ বছর আগে স্বামীর মৃত্যুর পরে শ্বশুরবাড়ি থেকে ২ সন্তানকে নিয়ে বাপেরবাড়ি চলে এসেছিলেন তিনি। জীবন নির্বাহের জন্য কাজ নিয়েছিলেন স্থানীয় একটি প্লাইউড কারখানায়। সেখানেই রোজ সাইকেল চালিয়ে কাজ করতে যেতেন তিনি। বৃহস্পতিবারও গিয়েছিলেন। এমনকি সেখান থেকে সাইকেল চালিয়ে তাঁকে বাড়ির পথেও যেতে দেখেছিলেন অনেকে। কিন্তু বাড়ি তিনি পৌঁছাননি। আর তাঁর সেই বাড়ি না ফেরার জেরেই চিন্তায় পড়েন তাঁর বাবা-মা। সেই দুশ্চিন্তাই মাথায় আকাশ ভেঙে দিল যখন সকালে প্রায় বিবস্ত্র অবস্থায় নিখোঁজ তরুণীর দেহ উদ্ধার হল। আর এই ঘটনাকে ঘিরেই এদিন চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে উত্তর দিনাজপুর জেলার সদর মহকুমার কালিয়াগঞ্জ ব্লকের বোচাডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর শঙ্কর এলাকায়। যদিও ওই তরুণীর বাপের বাড়ি পূর্ব শঙ্করপুর এলাকায়। শ্বশুরবাড়ি পাশের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশমণ্ডীতে।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালে উত্তর শঙ্কর এলাকায় খড়ের গাদা থেকে ওই তরুণীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। গ্রামবাসীরাই তা দেখতে পেয়ে খবর দেন পুলিশে। থানা থেকে পুলিশ এসে উদ্ধার করা হয় মৃতদেহ। গ্রামবাসীদের পাশাপাশি ওই তরুণীর পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, গণধর্ষণের পর তাঁকে খুন করা হয়েছে। তবে মৃতদেহের পাশ থেকে পেন্টিসাইড পাওয়া যাওয়ায় পুলিশ এখনই এই ঘটনাকে গণধর্ষণের তকমা দিতে রাজি নয়। তাঁরা জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না দেখে এটা বলা সম্ভব নয়, ঠিক কী কারনে ওই মহিলার মৃত্যু হয়েছে। ওই তরুণীর পরিবার থেকে অবশ্য নির্দিষ্ট করে কারোর নামে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।