নিজস্ব প্রতিনিধি: এক পড়ুয়ার বাবার গুণ্ডামির সাক্ষী থাকল বাঁকুড়া(Bankura) জেলার বড়জোড়া(Borjora) থানা এলাকার ফুলবেড়িয়া এলাকার মানুষজন। কেননা এই গ্রামেরই নিম্ন বুনিয়াদি স্কুলের প্রধান শিক্ষক(Head Teacher) প্রধান শিক্ষক অরুণ কুমার মণ্ডলকে তাঁরা মার খেতে দেখলেন ওই স্কুলেরই এক ছাত্রের বাবার(Parent) হাতে। ঘটনার জেরে জোর চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই এলাকায়। ঘটনার জেরে বড়জোড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হতেই এখন গা ঢাকা দিয়েছে সেই গুণ্ডা অভিভাবক। তবে শুধু প্রধান শিক্ষককেই মারধর করার অভিযোগই ওঠেনি তার বিরুদ্ধে এক সিভিক ভলেন্টিয়ারকেও মারধর করার অভিযোগ উঠেছে ওই অভিভাবকের বিরুদ্ধে।
ঠিক কী হয়েছে? জানা গিয়েছে, ফুলবেড়িয়া নিম্ন বুনিয়াদি স্কুলে শনিবার বন্ধুদের সঙ্গে খেলার সময় পড়ে গিয়ে পায়ে সামান্য চোট পেয়েছিল ওই স্কুলেরই পড়ুয়া শচীন ঘোষ। বন্ধুদের সঙ্গে খেলতে খেলতে বেঞ্চ থেকে ঝাঁপ দেওয়ার জেরেই পায়ে চোট লেগেছিল শচীনের। সেই ঘটনা কানে যেতে শচীনের পায়ে ওষুধও লাগিয়ে দেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক অরুণ কুমার মণ্ডল। কিন্তু ছেলের পায়ে চোট লেগেছে এই কথা শুনেই স্কুলে এসে কোনও কিছু না শুনেই একটি লাঠি দিয়ে অরুণবাবুকে মারতে শুরু করে শচীনের বাবা কৃষ্ণ ঘোষ। সেই সময় বড়জোড়া থানার সিভিক ভলেন্টিয়ার কৃষ্ণকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। অভিযোগ তাঁকেও মারধর করেন কৃষ্ণ। এই ঘটনার জেরেই গ্রামে ক্ষোভ ছড়িয়েছে। শনিবার রাতেই এই ঘটনার জেরে বড়জোড়া থানায় লিখিত অভিযোগ জানান অরুণবাবু। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ কৃষ্ণকে খুঁজতে তার বাড়িতে গেলেও সেখানে তাকে পাওয়া যায়নি। মনে করা হচ্চ্যহে গ্রেফতারি ঠেকাতে গ্রাম ছেড়ে গা ঢাকা দিয়েছে কৃষ্ণ।