নিজস্ব প্রতিনিধি: শনিবার সাতসকালেই চাঞ্চল্য ছড়ালো উত্তর ২৪ পরগনা(North 24 Pargana) জেলার বসিরহাট মহকুমার(Basirhat Sub Division) স্বরূপনগর থানার(Swarupnagar PS) সগুনা গ্রামে। কেননা এদিন সকালে ওই গ্রামে ইছামতি নদীর ধারে একটি গাছের ডাল থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে মাঝবয়সি এক যুবকের দেহ। স্থানীয় বাসিন্দারাই প্রথমে বিষয়টি দেখতে পান। গাছের ডাল থেকে ঝুলছিল সেই দেহ। পাশেই পড়ে রয়েছে মোটর বাইক। বাইকের আশপাশে আবার পড়ে রয়েছে জুতো, মদের বোতল। এলাকাবাসীদের দাবি, মৃত যুবককে আগে কখনও দেখেননি ওই চত্বরে। তাই প্রথমে যুবকের নাম-পরিচয় কিছুই তখন জানতে পারেননি তাঁরা। গ্রামবাসীরাই খবর দেন স্থানীয় থানায়। খবর পেয়ে স্বরূপনগর থানার পুলিশ(Police) কর্মীরা এসে দেহটি উদ্ধার করে স্থানীয় শাঁড়াপুল গ্রামীণ হাসপাতালে পাঠায়। পরে সেখান থেকে বসিরহাট জেলা হাসপাতালের পুলিশ মর্গে পাঠানো হয় ময়নাতদন্তের জন্য।
প্রাথমিক ভাবে গ্রামবাসীদের ধারনা ওই যুবককে খুন(Murder) করে তাঁর দেহ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ এসে মৃত ওই যুবকের প্যান্টের পকেট থেকে তাঁর ভোটার আইডি ও প্যান কার্ড খুঁজে পায়। সেখান থেকেই সামনে আসে তাঁর পরিচয়। জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম দেবতু বৈরাগী। বাড়ি বনগাঁর পাঁচপোতা এলাকায়। ঘটনাস্থল থেকে যে বাইকটি উদ্ধার হয়েছে সেটিও তদন্তের আওতায় রেখেছে পুলিশ। বাইকের নম্বর প্লেট যাচাই করে জানা গিয়েছে, বাইকের মালিক আশিস বিশ্বাস। তাঁরও বাড়ি বনগাঁয়। কী কারণে, বনগাঁর ওই যুবক বসিরহাটের স্বরূপনগরে ইছামতির পাড়ে এসেছিল, সেই বিষয়টি দেখার পাশাপাশি কীভাবে ওই যুবকের মৃত্যু হল, নিছকই আত্মহত্যা, নাকি খুন সেই বিষয়টি তদন্ত করে দেখছেন স্বরূপনগর থানার পুলিশকর্মীরা। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, ইছামতির ধারে মদের আসর বসেছিল। যুবকের পরিচিত কেউ তাঁকে সেই মদের আসরে ডেকে এনেছিল। এরপর তাঁকে খুন করা হয়েছে নাকি আত্মহত্যা? সেই বিষয়টি নিয়েই এখন ধোঁয়াশা থেকে গিয়েছে।