নিজস্ব প্রতিনিধি: একদিনকে উত্তরবঙ্গে প্রশাসনিক বৈঠকে ব্যস্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। অন্যদিকে কোচবিহারের দিনহাটায় ভোট প্রচার সারলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। আগামী ৩০ অক্টোবর দিনহাটায় উপনির্বাচন। সেই ভোটের প্রচারে সোমবার অভিষেক উত্তরবঙ্গে এসেছেন। এদিন দিনহাটায় এক জনসভায় তিনি জানিয়ে দিলেন, রাজ্য়ের চারটি উপনির্বাচেই তৃণমূল জিতবে। পাশাপাশি জানিয়ে দিলেন, বিজেপিকে হারাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় একাই একশো। বিজেপিকে কটাক্ষ করে অভিষেক এদিন বলেন, ‘শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা, তৃণমূলই ভরসা। করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে যেমন ভ্যাকসিন হল কোভিশিল্ড, তেমন BJP-র বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার একটা ডোজ হবে আগামী ৩০ অক্টোবর। আরেকটা ডোজ তুলে রাখুন ২০২৪ সালের জন্য। তাহলেই দেশ ভাইরাসমুক্ত হবে’।
তিনি এদিন এও জানিয়েছেন শুধু বাংলা নয়, দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যেই তৃণমূল প্রভাব বিস্তার করেছে ইতিমধ্যেই। অভিষেকের কথায়, ‘আগামী কয়েকমাসের মধ্যেই দেশের একাধিক রাজ্যে তৃণমূল নিজের ক্ষমতা বিস্তার করবে। তৃণমূল ত্রিপুরায় পৌঁছে গিয়েছে। গোয়াতেও ঢুকে গিয়েছে। আরও ৫-৭টা রাজ্যে যাব’। এরপরই তিনি বলেন, ‘আগামী তিনমাসের মধ্যে গোয়াতে জোড়াফুল ফুটবে। গোয়ায় বিধানসভা আসন ৪০টি। দল আমাকে দায়িত্ব দিয়েছে। ওখানে তৃণমূল সরকার প্রতিষ্ঠা করবে। আপনারা লিখে নিন। এর পর ত্রিপুরা, মেঘালয়, অসম এবং উত্তরপ্রদেশ আমাদের নিশানা। তার কারণ বাংলা পথ দেখিয়েছে। দেশকে পথ দেখাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়’।
তবে অভিষেক এদিন শুধু বিজেপিকেই নিশানা করেননি। তাঁর নিশানায় ছিল কংগ্রেস ও সিপিএমও। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের কথায়, ‘দেশে বহু রাজনৈতিক দল আছে। বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএম, যদিও খাতায়-কলমে সর্বভারতীয় দল। মাঠে ময়দানে নেই। স্রেফ হাওয়া, জিরো। কিন্তু তৃণমূল বিশুদ্ধ লোহা। যত তাতাবে, যত পোড়াবে, যত প্রহার করবে, তত বিশুদ্ধ হবে’। পাশাপাশি এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও নিশানা করেন অভিষেক। তাঁর কথায়, এটা বাংলা, গুজরাট নয়। ভেবেছে অন্য রাজ্যের সংস্কৃতি আমাদের উপর চাপিয়ে দেবে। এসব এখানে করতে গেলে আপনাদের বাড়ি পাঠিয়ে দেব। গত ভোটে এ রাজ্যের মানুষ তা করে দেখিয়ে দিয়েছে।