এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

২৮ মে হলদিয়া সফরে যাচ্ছেন অভিষেক, শ্রমিক সমাবেশের প্রধান বক্তা

নিজস্ব প্রতিনিধি: কাঁথির পর তাঁর লক্ষ্য হলদিয়া। সম্প্রতি সেরে ফেলেছেন অসম সফর। এবার সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) সাধারণ সম্পাদক (General Secretary) অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যাচ্ছেন হলদিয়া। সেখানেই শ্রমিক সমাবেশে যোগ দেবেন তিনি। ওই সমাবেশের প্রধান বক্তা ডায়মণ্ডহারবারের সাংসদ। শ্রমিক সমাবেশ রয়েছে আগামী ২৮ মে।

তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসির (INTTUC) তমলুক সাংগঠনিক জেলা ওই সভার আয়োজন করেছে। ওই দিন শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে বার্তা দেবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, হলদিয়া পুরসভায় পুরবোর্ডের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এবার হলদিয়ায় (Haldia) আসন্ন পুরভোট (Municipality Election)। তাই হলদিয়া যে অভিষেকের কাছে পাখির চোখ হবে, তা বোঝাই যাচ্ছে।

ওই দিন তিনি শিল্পপতিদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিতে পারেন, বলে জানা গিয়েছে। বার্তা দেওয়া হবে রাজ্য ও রাজ্যের বাইরের শিল্পপতিদের উদ্দেশ্যে। বলা হবে, রাজ্যে বিনিয়োগ করার কথা। পাশাপাশি জানা গিয়েছে, সিণ্ডিকেট- প্রতিবন্ধকতা- দাদাগিরির বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দেবেন অভিষেক। 

উল্লেখ্য, গত বুধবার অসম সফর সেরেছেন অভিষেক। বলেছিলেন, সিএএ- এনআরসি নিয়ে দ্বিচারিতা করছে। সরাসরি নিশানা করেছিলেন কেন্দ্রকে। তিনি বলেছিলেন, বিজেপির অন্দরেই দ্বিমত রয়েছে সিএএ নিয়ে। বিজেপি ২ রাজ্যে এই প্রস্তাবিত আইন নিয়ে আলাদা আলাদা বক্তব্য রাখছে বলেও দাবি করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

বুধবার তিনি বলেছিলেন, সিএএ এবং এনআরসি নিয়ে কেন্দ্র দ্বিচারিতা করছে। এই আইন নিয়ে বিজেপির অন্দরেই দ্বিমত আছে বলেও দাবি করেন তিনি। তারপরেই বলেছিলেন, বাংলা আর অসমে সিএএ নিয়ে আলাদা আলাদা কথা বলছে বিজেপি। ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করে আবারও ‘জুমলা’ করছে বিজেপি, এমনই দাবি করেছিলেন ডায়মণ্ডহারবারের সাংসদ। বলেছিলেন, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অসমে খুব তাড়াতাড়ি আসবেন। তিনি তার আগে অসমে এসেছেন তৃণমূলের সংগঠনকে আরও মজবুত করতে। বলেন, মাথা উঁচু করে বাঁচার জন্য বিজেপিকে হারাতেই হবে। এরপরেই পেট্রোল- ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি ইস্যুতে কেন্দ্রকে নিশানা করেছিলেন অভিষেক। বলেছিলেন, সিনেমা ট্যাক্স ফ্রি করছে বিজেপি সরকার। অথচ জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি ক্রমাগত হচ্ছে।

অসমের ভূমিপুত্রই অসম রাজ্য শাসন করবেন, বলেও দাবি করেছিলেন প্রত্যয়ী অভিষেক। তাঁর বিশ্বাস, অসমেও আসবে তৃণমূলের সরকার। সংগঠনের বিস্তারের জন্য অসমের পরে তিনি ত্রিপুরা ও মেঘালয়ে যাবেন বলেও জানিয়েছিলে। এদিন তাঁর বক্তব্যে বারবার উঠে আসে এনআরসি- সিএএ প্রসঙ্গ। বলেছিলেন, ১৬০০ থেকে ১৭০০ কোটি টাকার অর্থ খরচ করে এমন তালিকা হয়েছে যেখানে ১৯ লক্ষ মানুষের থাকা অনিশ্চয়তার মুখে। সাধারণ মানুষের টাকা নষ্ট করে এসব করা হচ্ছে। যারা ভোট দিয়েছেন, তাঁরা অবৈধ হলে কেন্দ্র সরকার ও বিজেপি পরিচালিত সরকারের বিভিন্ন পদাধিকারী ও সরকার সবই ভুয়ো। এরপরেই বলেন, যারা সিএএ বা এনআরসি দাবি তুলছিলেন, সেই বিজেপি নেতারা তাঁদের কাগজ দেখাতে পারবেন ১৯৭১ সালের আগে? বলেছিলেন, অনুপ্রবেশ আটকাতে হলে বিএসএফকে সতর্ক থাকতে হবে। ওই দিন তিনি বলেছিলেন বিজেপির জন্য আক্রান্ত আদালত, পুলিশ থেকে চিকিৎসা ব্যবস্থা।

সবশেষে তাঁর কাছে প্রশ্ন আসে, তৃণমূলের পরবর্তী সুপ্রিমো বা মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী কে? প্রশ্ন আসে, অভিষেক কি নিজেই? এই প্রশ্নের প্রত্যুত্তরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, দলের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিই ভারতবর্ষ শাসন করবেন। নিজের প্রসঙ্গে বলেছিলেন, দল তাঁকে সাধারণ সম্পাদকের পদ দিয়েছেন, সেই দায়িত্বই পালন করবেন ও করছেন তিনি। ওই দিন গুয়াহাটিতে তৃণমূল কংগ্রেসের নয়া কার্যালয় উদ্বোধন করেছিলেন অভিষেক।

তারপরে হলদিয়া আসছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনৈতিক শিবিরের মতে, রাজ্যের বাইরে দেশ জুড়ে এবং রাজ্যের ভেতরে প্রত্যেকটি জায়গায় সংগঠনের তৃণমূল স্তরে জোর নজর দিচ্ছেন অভিষেক। এখন দেখার হলদিয়ার শ্রমিক সমাবেশ থেকে কী বার্তা দেন তিনি।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

তীব্র দাবদাহ, বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাতিল পরীক্ষা

ভোটের দায়িত্বে থাকা সরকারি কর্মীদের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস

মুখ্যমন্ত্রীর মে দিবসের বার্তার মাঝেই কর্মহীন হলেন হাজার শ্রমিক

একাদশ শ্রেনীতে ভর্তির পরে পরেই হাতে আসবে ট্যাব

সকাল থেকেই চড়ছে পারদ! আট জেলায় জারি তাপপ্রবাহের সতর্কতা

বন্ধু কাঞ্চনকে সঙ্গে নিয়ে কেশপুরে ভোট প্রচারে দেব

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর