এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

নেতাই শহীদদের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন অভিষেকের, CBI শীতলতায় ক্ষুব্ধ স্বজনহারারা

Courtesy - Facebook and Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি তৎকালীন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার লালগড় থানার(Lalgarh PS) নেতাইয়ে সিপিএম নেতা রথীন দণ্ডপাটের বাড়ি থেকে নিরীহ গ্রামবাসীদের ওপর বিনা কারণে গুলি চালিয়ে ৯জনকে খুন করার ঘটনা ঘটেছিল। তারপরের বছর থেকেই তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে ৭ জানুয়ারিকে নেতাই দিবস হিসাবে পালন করার কথা জানিয়েছিলেন বাংলার অগ্নিকন্যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। সেই কারণেই এদিন সকালে নিজের ফেসবুক পেজে নেতাই গ্রামে নিহত শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhishek Banerjee)। কিন্তু সেই গণহত্যাকান্ডের(Netai Mass Killing) পর ১৩ বছর পূর্ণ হয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত শেষ হয়নি নেতাই গণহত্যার বিচারপর্ব। আজও বিচারের আশায় দিন গুনছেন স্বজনহারানো শহিদ পরিবারের সদস্যরা। একই সঙ্গে তাঁরা ক্ষুব্ধ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা CBI’র এই মামলায় তদন্তের ভূমিকা নিয়েও।

নেতাই গণহত্যাকান্ডের জেরে কলকাতা হাইকোর্টে(Calcutta High Court) মামলা দায়ের হয়েছিল এই ঘটনার CBI তদন্ত চেয়ে। সেই বছরেরই ১৮ ফেব্রুয়ারি কলকাতা হাইকোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি জয়নারায়ণ প্যাটেল ও অসীমকুমার রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ সেই তদন্তের নির্দেশও দেয়। পাশাপাশি, মৃতদের পরিবারকে ২ লাখ টাকা ও গুরুতর আহতদের ১ লাখ ও কম গুরুতর আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে অন্তর্বর্তী ক্ষতিপূরণের আদেশ দেওয়া হয়েছিল। একই সঙ্গে আদালত জানিয়ে দেয়, হাইকোর্টের নজরদারি ও তত্ত্বাবধানে জনস্বার্থ মামলাটি চলবে। তৎকালীন রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে এই নির্দেশের বিরুদ্ধে আবেদন করে। কিন্তু দেশের সর্বোচ্চ আদালত কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশই বহাল রাখে। ২০১১ সালের জুলাই মাসে ক্ষমতায় এসে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মৃতদের পরিবারকে ৫ লাখ টাকা ও গুরুতর আহতদের ক্ষতিপূরণ দেয়। এর পর থেকে গত ১২ বছর ধরে বার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে মামলার অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড আইনজীবী সঞ্জয় বর্ধন মামলাটির তদারকি করছেন।

জানা গিয়েছে, নেতাও গণহত্যা মামলায় এপর্যন্ত ১১৫ জনের মধ্যে মাত্র ৭৩ জনের সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। বাকি এখনও ৪২ জনের সাক্ষ্যদান পর্ব। প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকেও জানানো হয় বিলম্বিত সাক্ষ্যপ্রমাণ গ্রহণের কারণে বেশিরভাগ অভিযুক্তই জামিন পেয়ে গিয়েছে। গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে দ্রুত মামলার নিষ্পত্তি করতে নিম্ন আদালতকে নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। উচ্চ-আদালতের নির্দেশে নেতাই গণহত্যা মামলার নিষ্পত্তিতে CBI সক্রিয় হলেও প্রায় এক বছর হতে চলল মামলার সেভাবে আর কোনও অগ্রগতিই হয়নি। যদিও আগামী ১৫ জানুয়ারি কলকাতা হাইকোর্টে মামলাটির পরবর্তী শুনানির দিন রয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে আজই নেতাই গণহত্যাকান্ডের দিনেই DYFI কলকাতার ব্রিগেডে সভা করছে। কার্যত গণহত্যাকে ক্লিনচিট দিয়ে তাঁরা আজ গণহত্যার স্বপক্ষেই আওয়াজ তুলছে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

‘এখন থেকে আমি আর মোদিবাবুর নাম নেব না, বড্ড মিথ্যে কথা বলেন’

বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে দেখা করেই মৃত্যু মাধ্যমিক উত্তীর্ণ  ছাত্রীর

তেহট্টে বিজেপিকে কাঠগড়ায় তুলে মহুয়ার হয়ে ব্যাটন ধরলেন মমতা

IAS, IPS অফিসারদের ফোন করে চাপ বিজেপি হয়ে কাজ করার জন্য, বিস্ফোরক অভিযোগ মমতার

হাওড়ার বাঁকড়ায় পঞ্চায়েত অফিসে চলল গুলি, নামল র‍্যাফ

রেজাল্ট ভালো হবে না এই আশঙ্কা করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর