নিজস্ব প্রতিনিধি : কালিম্পঙে সপরিবারে বেড়াতে যাচ্ছিল গোটা পরিবার। আচমকাই পথ দুর্ঘটনার কবলে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় একজনের। আহত হন ছয় জন। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
বৃহস্পতিবার সকালে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বাগডোগরা-গোঁসাইপুর এশিয়ার হাইওয়ে ২ নম্বর জাতীয় সড়কে। স্থানীয় থেকে জানা গিয়েছে, গোঁসাইপুর সংলগ্ন এলাকায় আচমকাই বিহার থেকে আসা একটি যাত্রীবাহী বাস দাঁড়িয়ে পড়ে। তখন পিছন থেকে একটি বলেরো গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটিকে ধাক্কা মারে। সঙ্গে সঙ্গে গাড়িটির সামনের অংশ দুমড়ে মুছড়ে যায়। গাড়ির ভিতর চালক ছাড়া শিশু, মহিলা সহ সাত জন ছিলেন। জানা গিয়েছে, এদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত ব্যক্তির নাম ইন্দ্রাশিস চক্রবর্তী। তাঁর বাড়ি দক্ষিণেশ্বরে।
জানা গিয়েছে, দক্ষিণেশ্বর থেকে সপরিবারে কালিম্পঙের চুইখিমে যাচ্ছিলেন তাঁরা। সেখানে তাঁদের আরেকটি বাড়ি রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, পুলিশ, অ্যাম্বুলেন্সকে বার বার বলা সত্ত্বেও ঠিক সময় তাঁরা আসেননি। অবশেষে তাঁদের টোটো করে হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীয়রাই।
দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে মৃত ইন্দ্রাশিসের বাবা ইন্দ্রনীল চক্রবর্তী জানিয়েছেন, ‘দক্ষিণেশ্বর থেকে চুইখামের দিকে যাচ্ছিলাম। বাগডোগরা পেরোনোর পর গোঁসাইপুর এলাকায় একটি বাস হঠাৎ দাঁড়িয়ে পড়ে। আমাদের গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটির পিছনে ধাক্কা মারে। আমার ছেলে মারা গিয়েছে। আমার স্ত্রীর অবস্থাও ভালো নয়।‘ বাগডোগরা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটিকে উদ্ধার করেছে।