নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের (Visva Bharati) উপাচার্য (Vice Chancellor) পদে মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর (Bidyut Chakraborty)। কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ মতো কলাভবনের অধ্যক্ষ তথা অধ্যাপক সঞ্জয় মল্লিক এখন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন। বিদ্যুৎ বিদায় সম্পন্ন হতেই গতকাল থেকেই শান্তিনিকেতন, বিশ্বভারতী ও বোলপুরজুড়ে রীতিমত উৎসব শুরু হয়ে গিয়েছে। আজ বিশ্বভারতীর সেন্ট্রাল অফিসে গঙ্গার জল দিয়ে ধুয়ে শুদ্ধকরণ করল শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাকর্মীরা। একদিকে তারা যেমন গঙ্গার জল দিয়ে ধুয়ে শুদ্ধকরনের কাজ করে অন্যদিকে তেমনি পাশাপাশি শান্তিনিকেতনে কবিগুরু মার্কেটে যে তাদের ধারনা মঞ্চ চলছিল তাও প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
উপাচার্যের বদল হতেই দীর্ঘদিন বাদে ছাতিমতলায় প্রতীকী উপাসনায় যোগ দিলেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনীরা ও শান্তিনিকেতনের প্রবীণ আশ্রমিকেরা। গতকাল বিদ্যুৎ বিদায়ের বার্তা ছড়িয়ে পড়তেই শান্তিনিকেতন, বিশ্বভারতী ও বোলপুরজুড়ে বিদ্যুৎ ‘বিরোধীরা’ মিষ্টি বিলি করেছিলেন। এদিনও তার ব্যতিক্রম হয়নি। একই সঙ্গে এদিন বিশ্বভারতীর প্রাক্তনীরা এবং শান্তিনিকেতনের আশ্রমিকেরা সবাই একযোগে সরব হয়েছেন পৌষমেলাকে ফের আগের জায়গায় ফিরিয়ে আনার জন্য। সরব হয়েছেন বসন্ত উৎসবের দরজা সকলের জন্য খুলে দিতে।
উপাচার্য থাকাকালীন একের পর এক বিতর্কে জড়িয়েছিলেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। আশ্রমিকদের একাংশের মতে, বিদ্যুৎ উপাচার্য থাকাকালীন সময় বিশ্বভারতীর ঐতিহ্য ক্ষুন্ন হয়েছে। সেই ঐতিহ্য ফের ফিরিয়ে আনাই এখন লক্ষ্য প্রাক্তনী এবং প্রবীণ আশ্রমিকদের। শুধু তাই নয় বিদ্যুৎ জামানায় যে পোষ মেলা বন্ধ করে দিয়েছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় তা চলতি বছর থেকে ফের শুরু হবে। আগামী দিনে বিশ্বভারতী কোন বিতর্কের সঙ্গে যুক্ত না হয় তা নিয়েই বদ্ধপরিকর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনীরা।