এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

কার্শিয়াংয়ে বরফ আড়াই দশক বাদে, পুরুলিয়ায় পারা থমকালো ৯ডিগ্রিতে

Courtesy - Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: ঠান্ডার ঘেরাটোপে বাংলা। টানা ৯ দিন ধরে নিম্নমুখী গোটা বাংলার পারা। হাওয়া অফিস বলছে আপাতত রাজ্যে উত্তরে হাওয়া প্রবেশের ক্ষেত্রে বিশেষ কোনও বাধা নেই। সে কারণেই আগামী সপ্তাহের মাঝামাঝি পর্যন্ত দিন ও রাতের তাপমাত্রা এই সময়ের স্বাভাবিক বা তার থেকে সামান্য কমই থাকবে বলে জানা যাচ্ছে। এমনকী পারা পতনের নিরিখে উত্তরের জেলাগুলিকে জোর টক্কর দিচ্ছে দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমের জেলাগুলি। আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, অন্যান্য বছর ডিসেম্বরের এই সময়ে কলকাতার(Kolkata) গড় স্বাভাবিক সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে থাকে। কিন্তু, এবার ডিসেম্বরের শুরু থেকেই ঝোড়ো ইনিংস খেলতে শুরু করেছে শীত। হু হু করে নামছে পারা। শনি সকালে কলকাতায় পারা নেমেছে ১৪.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। পুরুলিয়ায়(Purulia) ৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাঁকুড়ায়(Bankura) ১০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সব থেকে বড় কথা আড়াই দশক বাদে পাহাড়ের কার্শিয়াংয়ের(Kurseong) মতো এলাকায় পড়ছে বরফ(Snowfalls)।

আলিপুর আবহাওয়া দফতরের দাবি, রাজ্যের পশ্চিমের জেলাগুলিতে আগামী কয়েকদিন শীতের দাপট বজায় থাকবে। পারাপতন অব্যাহত থাকবে বীরভূম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়ার মতো জেলাগুলিতে। দিনের তাপমাত্রা স্থিতিশীল থাকলেও বড়সড় পারাপতন দেখা যাবে রাতে। জাঁকিয়ে শীত হানা দেবে উত্তরেও। তবে আগামী কয়েকদিন দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস নেই। গতকাল বিকাল ৫টায় কালিম্পংয়ের তাপমাত্রা সর্বোচ্চ উঠেছিল ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দার্জিলিংয়ে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন সকালে সেই দুই শহরেই পারা নেমে গিয়েছে ৩ ও ২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। তবে সব থেকে বড় ঘটনা হল আড়াই দশক বাদে ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে কার্শিয়াংয়ে তুষারপাত। প্রায় আড়াই দশক পর এমন ঘটনায় সেখানে এখন উন্মাদনা চরমে উঠেছে। তবে কার্শিয়াং শহরে সেই তুষারপাত হয়নি, হয়েছে ডাউহিলের কাছে চিমনিতে। বরফের চাদরে ঢেকেছে এলাকা। স্থানীয়দের দাবি, যে পরিমাণ তুষারপাত হয়েছে তা শেষ ১৯৯৮ সালে দেখা গিয়েছিল।     

প্রসঙ্গত, আবহাওয়া দফতর আগেই জানিয়েছিল পাহাড়ে তুষারপাতের ব্যাপারে। সেই কারণেই পাহাড়ে যেতে অনেকেই প্রস্তুতিও নিয়ে রেখেছিলেন। কার্শিয়াংয়ের তুষারপাতের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই কেউ ছুটলেন বাইক নিয়ে, কারও আবার গাড়ি ভাড়া নিয়ে। গন্তব্য ছিল বরফে ঢাকা চিমনি। এদিন অর্থাৎ শনিবার এবং আগামিকাল অর্থাৎ রবিবারও দার্জিলিং পাহাড়ের উঁচু এলাকায় তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। দার্জিলিংয়ে তুষারপাতের খবরে বহু পর্যটক বেড়াতে গিয়েছেন। পর্যটন ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, দার্জিলিংয়ের টুংলিং, সীমানা, সান্দাকফুতে তুষারপাতের জেরে বহু পর্যটক থেকে গিয়েছেন। ভ্রমণের নির্দিষ্ট সময়সূচি পার হয়ে গেলেও শুধু তুষারপাত দেখতেই আরও এক-দু’দিন পাহাড়ে থাকার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন পর্যটকরা।

পূর্বাভাস ছিল বৃষ্টির জেরে দার্জিলিংয়ের উঁচু এলাকায় তুষারপাত হবে। কিন্তু, কার্শিয়াংয়ে তুষারপাতের তেমন পূর্বাভাস ছিল না। তবে কার্শিয়াংয়ের চিমনি এলাকায় তুষারপাত হওয়ায় পর্যটকরা খুশি। তাঁরা এই তুষারপাতের ভরপুর মজা নিয়েছেন। তবে তুষারপাতের জেরে শুক্রবার সন্ধ্যা থেকেই ঘন কুয়াশার মোড়কে ঢাকা পড়েছে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলি। আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ও শিলিগুড়িতে তাপমাত্রা এদিন সকালে নেমে গিয়েছে। আকাশ পরিষ্কার হওয়ার ফলে কুয়াশাও আরও বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

‘মায়ের সম্মান চলে গেলে ফেরানো যায় না’, সন্দেশখালিকাণ্ডে সরব মমতা

মেদিনীপুরে রদবদল, বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলের  যোগ দিলেন বহু নেতা

‘আমি কী খাব, কেন ঠিক করবে মোদি সরকার’, প্রশ্ন অভিষেকের

দলীয় পতাকা লাগাতে গিয়ে বচসা, শ্লীলতাহানির অভিযোগ বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে

‘মোদির পুতুল অমৃতা, মহিলাদের ইজ্জত বিক্রি করেছে বিজেপি’ আক্রমণ অভিষেকের

ভোটের আগেই তৃণমূল প্রার্থী মিতালি বাগের গাড়িতে ভাঙচুর, আরামবাগে ছড়াল উত্তেজনা

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর