নিজস্ব প্রতিনিধি: বকটুই (BAGTUI) কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত আনারুল হোসেন। আনারুল সহ ২৫ ধৃতের পক্ষ থেকে জামিনের আবেদন জানানো হয়েছিল। সেই আবেদন খারিজ করেছেন বিচারক। ফের জেল হেফাজতের (JAIL CUSTODY) নির্দেশ দিয়েছে আদালত। নির্দেশ, ১৪ দিনের জেল হেফাজত। আগামী ১৫ জুন ফের আদালতে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ধৃত ২৫ জন জেল হেফাজতেই ছিল। অভিযুক্তদের বুধবার আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই শুনানির জন্যই ধৃতদের রামপুরহাট মহকুমা আদালতে (COURT) হাজির করা হয়েছিল। এজলাসেই ধৃতদের পক্ষের আইনজীবী বিচারকের (JUDGE) কাছে ধৃতদের জামিনের (BELL) জন্য আবেদন জানান। তবে আদালতের অতিরিক্ত মুখ্য দায়রা বিচারপতি সেই আবেদন মঞ্জুর করেননি। ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার বিচারপতি পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন আগামী ১৫ জুন। উল্লেখ্য, বকটুই কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত আনারুল সহ ৫ জনের জামিনের আবেদন জানানো হয়েছে জজ কোর্টে। সেই আবেদনের শুনানি হবে আগামী ৩ জুন, শুক্রবার।
উল্লেখ্য, গত ২১ মার্চ রাতে পানাগড়-মোড়গ্রাম সড়কের ধারে বকটুই মোড়ে দুষ্কৃতীদের ছোঁড়া বোমার আঘাতে খুন হন বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল উপপ্রধান ভাদু শেখ। সেই খুনের জেরে সেই ঘটনার ১ ঘন্টার মধ্যেই বকটুই গ্রামে চড়াও হয় ভাদুর অনুগামীরা। উন্মত্তের মতো তাঁরা ১০-১২টি বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়। তার জেরেই পরের দিন অর্থাৎ ২২ মার্চ সকালে দমকলের আধিকারিকেরা ৭ জনের দগ্ধদেহ উদ্ধার করেন। দিন কয়েক পর রামপুরহাট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আরও ১ মহিলার মৃত্যু হয়। এরপর ৪০ দিন ধরে লড়াই করার পর ভোররাতে মারা গিয়েছিলেন বকটুইয়ের ঘটনায় আহত আরও ১ মহিলা। বকটুইকাণ্ডে মৃত্যুর সংখ্যা ৯।