নিজস্ব প্রতিনিধি: ভারত সরকারের অগ্নিপথ প্রকল্পকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ দেশের একাধিক রাজ্য। বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে। বিহার, রাজস্থান, তেলেঙ্গানা, উত্তরপ্রদেশে ট্রেনে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে। সেই আঁচ ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে বাংলায়। বৃহস্পতিবার থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন চাকরি প্রার্থীরা। শুক্রবার সকালে চাকরি প্রার্থীরা প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ঠাকুরনগর রেলস্টেশনে অবরোধ করে। এর পর তাঁরা প্রতিবাদ জানাতে কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের বাড়িতে যাওয়ার চেষ্টা করেন। আর মন্ত্রীর বাড়ি যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ধ্বস্তাধ্বস্তি শুরু হয়।
বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, সেনাবাহিনীতে নিয়োগের জন্য ভারত সরকারের অগ্নিপথ প্রকল্প কেন তারা মানছেন না, গোটা বিষটি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে জানানোর চেষ্টা করেন। যাতে মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর লোকসভায় কেন্দ্র সরকারের কাছে চাকরিপ্রার্থী বিক্ষোভকারীদের কথা তুলে ধরতে পারেন। কিন্তু বিক্ষোভকারীদের এই কর্মসূচিতে বাধা দেয় পুলিশ। তাদেরকে আটকে দেওয়া হয়। শেষে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বাড়ির বাইরে চাকরি প্রার্থীরা জমায়েত করে বিক্ষোভ দেখান। বিক্ষোভকারীদের হঠাতে তৎপরতা শুরু করে পুলিশ। বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় পুলিশ।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং অগ্নিপথ প্রকল্পের সূচনা করেন। এই প্রকল্পের অধীনে সাড়ে ১৭ থেকে ২১ বছরের ভারতীয় তরুণ-তরুণীদের চার বছরের জন্য সেনা বাহিনীতে নিয়োগ করা হবে বলে জানানো হয়। এর পর থেকে এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ সংগঠিত করতে শুরু করেন চাকরি প্রার্থীরা। কেন্দ্রের তরফে বলা হয়, বছরে ৪৫ হাজার তরুণ-তরুণীকে নেওয়া হবে অগ্নিপথ প্রকল্পে। চার বছরের মেয়াদ শেষ হলে ২৫ শতাংশ সেনাকে সরাসরি সেনা বাহিনীতে স্থায়ী পদে নিয়োগ করা হবে। বাকি ৭৫ শতাংশকে ছাঁটাই করা হবে। যদিও তাদের এককালীন আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। মিলবে না পেনশনের সুবিধা।