নিজস্ব প্রতিনিধি: মেলা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে এক নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূম জেলার শান্তিনিকেতনের আদিত্যপুর গ্রামে। যা ঘিরে এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে চাঞ্চল্য। আশঙ্কাজনক অবস্থায় নাবালিকা নির্যাতিতাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আদিবাসী ওই নাবালিকা বৃহস্পতিবার রাতে আসে চরক পুজো দেখতে। চড়কের মেলা থেকে তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে নদীর ধারে পাঁচজন গণধর্ষণ করে। বীরভূম জেলার শান্তিনিকেতন থানার বড়োডাঙা গ্রামে আদিবাসী নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়। জানা গিয়েছে, ওই রাতে মায়ের সঙ্গে চড়কের মেলায় গিয়েছিল নাবালিকা। মেলায় এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা হলে দু’জন গল্প করছিল মেলার মাঠে। সে সময় আচমকা পাঁচ জনের একটি দল সেখানে আসে। এর পর ছেলেটিকে মারধর করে মেয়েটিকে তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। তাকে নিয়ে নদীর ফাঁকা চরে চলে যায় তারা। সেখানে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে চলে যায় বলে অভিযোগ।
ওই নাবালিকাকে তুলে নিয়ে গেলে তার বন্ধু স্থানীয়দের বিষটি জানায়। এরপর কয়েকজন স্থানীয় ব্যক্তি নদীর চর থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে। শুক্রবার সকালে নির্যাতিতাকে বোলপুর হাসপাতালে ভর্তি করেছে শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ। সেখানেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসা চলছে তার। এই ঘটনায় যারা জড়িত রয়েছে তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। এই ঘটনা নিয়ে বীরভূম জেলার পুলিশ সুপার নগেন্দ্র ত্রিপাঠী বলেন, ‘‘আমরা একটা অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত হচ্ছে। মেলা থেকে ফেরার পথে তিন চার জন ছেলে ওই নাবালিকার উপর অত্যাচার চালিয়েছে বলে অভিযোগ। মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হয়েছে। আমরা তদন্ত করছি।’’