নিজস্ব প্রতিনিধি: ঘটনার পরে পরেই কোন পথে পাল্টা আক্রমণ হবে সেই সুরটা গতকালই বেঁধে দিয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। দেখা গেল, পুলিশ প্রশাসনও সেই পথেই হাঁটা দিয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর(Purba Midnapur) জেলার কাঁথি মহকুমার(Contai Sub Division) ভূপতিনগর থানা(Bhupatinagar PS) এলাকায় শনিবার ভোর রাতে দুই তৃণমূল নেতার বাড়িতে NIA আধিকারিকদের হানাদারির ঘটনায় এবার শ্লীলতাহানির(Molestation) অভিযোগ দায়ের হল পুলিশের কাছে। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তও শুরু করেছে পুলিশ। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ ধারা, অর্থাৎ, শ্লীলতাহানির ধারা দেওয়া হয়েছে NIA আধিকারিকদের বিরুদ্ধে। যা জামিন অযোগ্য। যদিও পুলিশ এই ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার বা আটক করেনি। NIA আধিকারিকদের ওপর হামলার ঘটনাতেও কেউ আটক হয়নি।
গতকাল ভূপতিনগরের ঘটনায় সরব হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তরবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের তপনে আয়োজিত তৃণমূলের নির্বাচনী সভা থেকে এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। জানিয়েছিলেন, ‘ওখানে মহিলারা হামলা করেননি। আসলে হামলা করেছে NIA। মধ্যরাতে গিয়ে যদি মহিলাদের বাড়িতে অত্যাচার করে, তবে মহিলারা কি হাতে শাঁখা, বালা পরে বসে থাকবে? মাথায় ওড়না দিয়ে বসে থাকবে? তারা নিজেদের ইজ্জত বাঁচাবে না। কবে কোথায় মেদিনীপুরে একটা চকোলেট বোমা ফেটেছে, তার তদন্ত করতে এই ভোটের মুখে মাঝরাতে ছুটে আসতে হল NIA-কে? গদ্দারেরা জানে হারবে, তাই বাড়ি বাড়ি NIA ঢুকিয়ে দিয়েছে।’ মুখ্যমন্ত্রীর সেই বক্তব্যের পরে পরেই দেখা গেল শনিবার রাতেই ভূপতিনগরের থানায় NIA আধিকারিকদের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সেই অভিযোগ দায়ের করেছে ধৃত এক তৃণমূল নেতার পরিবার। FIR দায়ের করে সেই ঘটনার তদন্ত শুরুও করে দিয়েছে পুলিশ।
এদিকে এদিন অর্থাৎ রবিবার, ভূপতিনগরে আসছেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও কুণাল ঘোষ সহ তৃণমূলের(TMC) রাজ্য ও জেলার নেতৃত্বের এক প্রতিনিধি দল। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকালই বলেছেন, ‘ভোট এলেই কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে দিয়ে মানুষকে ভয় দেখানোর কাজ করে থাকে বিজেপি সরকার।’ তাই এলাকার মানুষ যাতে এই NIA’র হানাদারির ঘটনায় বিন্দুমাত্র ভয় না পান, সেই কারণেই এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলতে যাচ্ছে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। তাঁরা NIA’র হাতে গ্রেফতার দুই তৃণমূল নেতার পরিবারে সঙ্গেও কথা বলবেন।