নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: পরিত্যক্ত কোচ বদলে ফেলা হল রেস্তোরাঁয়। জানালা-দরজা অক্ষত রেখেই কোচকে রেস্টুব়্যান্টে বদল করা হয়েছে। বসে যাকে বলে কব্জি ডুবিয়ে খাওয়া, এই রেসুব়্যান্টেও বসে আপনি কব্জি ডুবিয়ে খেতে পারবেন। খেতে-খেতে আড্ডাও দেওয়া যাবে। চাইলে পরিবারকে নিয়েও আপনি যেতে পারবেন।
মুখোমুখি দুটি চেয়ার। মাঝে টেবিল। চেয়ারে বসতে পারবেন চারজন। রঙিং আলোর মাঝে মাথার ওপর ঝুলছে ছোটো ছোটো ঝাড়বাতি। খাবার তিন ধরনের। উত্তর-ভারতীয়, দক্ষিণ ভারতীয় এবং চাইনিজ। বিরিয়ানিও মিলবে এই রেস্টুব়্যান্টে। পাওয়া যাবে চিলিচিকেন, মোমো।
চা? কফি? সেটাও আছে। যাঁরা রেস্টুব়্যান্টের ভিতরে বসে খেতে চান না বা খেতে পছন্দ করেন না, তাদের জন্য বাইরে বসে খাওয়ার ব্যবস্থাও রয়েছে। রেস্টুব়্যান্ট পুরোটাই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত।
রেস্টুব়্যান্ট খোলে সকাল ছয়টায়। বন্ধ হবে রাত ১০টায়। মোট আটটি টেবিল রয়েছে। বসতে পারবেন ৩২ জন। সকালে যে সব যাত্রী ট্রেন থেকে নামবে তাঁরা চাইলে প্রাতঃরাশ এখানেই করতে পারবেন। আবার যারা রাতের ট্রেন ধরবেন, তারা চাইলে এখান থেকে খেয়েই ট্রেনে উঠতে পারবেন। পাশাপাশি যারা ট্রেনযাত্রী নন, তাদের জন্য এই রেস্টুব়্যান্টের দরজা খোলা।
রেস্টুব়্যান্টের ভিতরে রয়েছে ছবি। সেই সব ছবির মধ্যে কোনও ছবি দার্জিলিং রেলওয়ে টয় ট্রেন, রয়েছে বাংলার রবীন্দ্র সেতুর ছবি। রয়েছে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের ছবি। এরকম আরও কয়েকটি রেস্টব়্যান্ট খোলার পরিকল্পনা রয়েছে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, রেস্টুব়্যান্ট খোলা হবে সুকনা, তিনধারিয়া, কার্সিয়ং এবং দার্জিলিংয়ে।
এত কিছু বলা হল, কিন্তু জানানো হল না কোথায় এই রেস্টুব়্যান্ট। এই রেস্টুব়্যান্ট নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে।
আরও পড়ুন ট্রেনের কামরায় রেস্তোরাঁ, আয় বাড়াতে নতুন উদ্য়োগ রেলের