নিজস্ব প্রতিনিধি: ক্যানিংয়ে খুন (MURDER) হয়েছিলেন পঞ্চায়েত সদস্য সহ ৩ জন তৃণমূল (TMC) নেতা। এই কাণ্ডে পুলিশের জালে আরও ১ জন। ধৃতের নাম এবাইদুল্লা মণ্ডল। জয়নগর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাকে। এবাইদুল্লার নাম ছিল মৃত পঞ্চায়েত সদস্য স্বপন মাঝির পরিবারের করা এফআইআরে (FIR)। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার (ARREST) ২ জন।
একুশে জুলাই উপলক্ষ্যে আয়োজিত প্রস্তুতি সভায় যোগ দিতে যাওয়ার আগে খুন হয়েছিলেন পঞ্চায়েত সদস্য স্বপন মাঝি সহ ৩ জন। বাকি দু’জনের নাম ভূতনাথ প্রামানিক এবং ঝন্টু হালদার। গত বৃহস্পতিবারের ঘটনা। তদন্তের জন্য গঠন করা হয় ৫ সদস্যের সিট। গত শুক্রবার এই ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়। কুলতলি অঞ্চল থেকে সিট (SIT) গ্রেফতার করেছিল আফতাবউদ্দিন শেখকে। উল্লেখ্য, এই খুনের ঘটনার এফআইআরে নাম ছিল বসির শেখের। আফতাবউদ্দিনের ভাই বসির। পুলিশের (POLICE) পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আফতাবউদ্দিন ও এবাইদুল্লাকে জেরা করে বাকিদেরও খোঁজ মিলবে।
জানা গিয়েছে, ৩ দিন আগে স্বপন মাঝি ও তাঁর সহকর্মীদের খুনের ছক কষা হয়েছিল। সমস্ত পরিকল্পনা করা হয়েছিল ধর্মতলার একটি মাঠে। বুধবার রাত থেকেই স্বপন মাঝির গতিবিধির ওপর নজর রাখছিল আফতাবউদ্দিন। পরিকল্পনা ছিল, খুন করা হবে বৃহস্পতিবার সকালে। বুধবার রাত থেকেই স্বপন মাঝির গতিবিধির খবর দুষ্কৃতিদের দিতে থাকে আফতাব। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বাড়ে গতিবিধির ওপর নজর। তদন্তকারী আধিকারিকদের দাবি, বৃহস্পতিবার সকালে বাইকে করে দীর্ঘক্ষণ অনুসরণ করা হয় স্বপন মাঝিকে। তারপর চালানো হয় অপারেশন। উল্লেখ্য, স্বপন মাঝি ও তাঁর ২ সহকর্মী খুনের ঘটনায় এফআইআরে নাম রয়েছে ৬ অভিযুক্তের। এদের মধ্যে ধৃত ২। বাকি ৪ জনের খোঁজে চলছে তল্লাশি। খতিয়ে দেখা হচ্ছে এই ঘটনায় আরও কে বা কারা জড়িত। খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবাইদুল্লার ভূমিকা। জানা গিয়েছে, সন্দেহজনক একটি টোটোকে ধাওয়া করে এবাইদুল্লাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।