নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: অভিযোগ, ১ ডিসেম্বর থেকে জলপাইগুড়ি কোভিড হাসপাতালে ৭৫ জন অস্থায়ী কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়েছে। ফলে কাজ ফিরে পাওয়ার দাবিতে ওই ৭৫ জন করোনা যোদ্ধা জলপাইগুড়ি কোভিড হাসপাতালে প্ল্যাকার্ড হাতে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করলেন। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, বর্তমানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে। ফলে হসপাতালেও রোগীর চাপ নেই। মঙ্গলবার পর্যন্ত ওই করোনা হাসপাতালে মাত্র ৪ জন ভর্তি রয়েছেন। গত কয়েকমাস ধরেই চিত্রটা প্রায় এক। তাই তাই জলপাইগুড়ি বিশ্ব বাংলা কোভিড হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগে কর্মরত ৭৫ জন অস্থায়ী কর্মীর কাজ বন্ধের নির্দেশ দিল স্বাস্থ্য দফতর। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, ওই অস্থায়ী কর্মীরা বিনা পারিশ্রমিকে পরিষেবা দিতেন। তাই ছাঁটাইয়ের প্রশ্নই ওঠে না।
কাজ হারানো কর্মীদের দাবি, তাঁদের কাজে ফিরিয়ে নিতে হবে। ওই করোনা হাসপাতালে নার্সিং, সাফাই, ডেটা অপারেটর, কোভিড রোগিকে বাথরুমে নিয়ে যাওয়া, অক্সিজেন টেকনিশিয়ান সহ প্রায় ৭৫ জন অস্থায়ীভাবে কাজ করতেন। করোনা পরিস্থিতিতে নার্স ও চিকিৎসকদের মতো এই ধরণের কর্মচারীদেরও করোনা যোদ্ধা আখ্যা দিয়েছিল রাজ্য সরকার। যদিও হাসপাতাল সহকারি সুপার সুস্নাত রায় জানান, ৩০ নভেম্বর তাঁদের শেষ কাজ ছিল। এরপর স্বাস্থ্য ভবনের কথায় তাঁদের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে বিষয়টি নিয়ে আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবো।
ঘটনায় রোহিনি রায় নামে এক অস্থায়ী কর্মী বলেন আমি অ্যাম্বুলেন্স চালক। সমস্ত কোভিড রোগীদের আমি হাসপাতালে নিয়ে আসি। করোনা হাসপাতাল শুরু হবার পর আমাদের নিয়োগ করা হয়। করোনা রোগীদের নিয়ে ওঠবস করতাম বলে প্রথম প্রথম পাড়ার লোক আমাদের বাড়ি ফিরতে দিতেন না। বাড়ি ফেলে মাসের পর মাস এই হাসপাতালে কাটিয়েছি। আজ আমাদের এখান থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হল। আমরা চাই আমাদের পুনরায় নিয়োগ করা হোক। নইলে আমরা বাড়ি ফিরবো না। এখানেই বিনে পয়সায় পরিষেবা দিয়ে যাবো।