নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলার(Bengal) বুকে পঞ্চায়েত নির্বাচন(Panchayat Election) যতই এগিয়ে আসছে ততই গেরুয়া শিবিরের নেতারা থেকে থেকেই বাংলা ভাগের দাবি তুলছেন। সেই দাবির সঙ্গে সুরে সুর মিলিয়ে পৃথক ‘কামতাপুর’(Kamtapur) রাজ্য গঠনের দাবি এবার তুলে ধরলেন কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশন(KLO) বা কেএলও’র শীর্ষ নেতা জীবন সিংহ(Jiban Singha)। উত্তরবঙ্গের(North Bengal) একাধিক জেলায় সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া জীবনের অডিও ক্লিপ এখন ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। পুলিশের কাছেও পৌঁচেছে সেই ক্লিপ। প্রাথমিক ভাবে পুলিশকর্তাদের অনুমান, মায়ানমারের গোপন ডেরা থেকে জীবন এই অডিও ক্লিপ রেকর্ড করে তাঁর অনুগামীদের মাধ্যমে উত্তরবঙ্গের জেলায় জেলায় ছড়িয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। পঞ্চায়েত নির্বাচন যতই এগিয়ে আসবে ততই এই ধরনের দাবি আরও সামনে আসবে বলেই তাঁরা মনে করেন।
আরও পড়ুন আপনি কি কেষ্ট’র হাত ধরে চাকরি পেয়েছেন, পেলে সাবধান
উত্তরবঙ্গে যে অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় সেখানে জীবনকে দাবি করতে শোনা গিয়েছে যে চলতি ডিসেম্বর মাসেই বাংলা ভেঙে পৃথক কামতাপুর রাজ্য গঠন হতে চলেছে। ওই অডিও ক্লিপে শোনা যাচ্ছে, ‘১৯৪৯ সালের ২৮ আগস্ট মার্জার এগ্রিমেন্ট অনুযায়ী গ্রেটার কোচবিহার বা কামতাপুর রাজ্য ভারত ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর(Narendra Modi) নেতৃত্বাধীন ভারত সরকার গ্রেটার কোচবিহার বা কামতাপুর রাজ্য গঠনের উদ্যোগ নিয়েছেন। তার জন্য নরেন্দ্র মোদি ও ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। আজকে গ্রেটার কোচবিহার বা কামতাপুরের মানুষ আশাবাদী যে ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই গ্রেটার কোচবিহার বা কামতাপুর রাজ্য গঠন হবে। মমতা(Mamata Banerjee) দিদির নেতৃত্ব এক্ষেত্রে সহযোগিতার হাত বাড়াবেন। এই প্রার্থনা করি।’
আরও পড়ুন রাম ক্যালান ক্যালাবে পুলিশ, কেনা হচ্ছে ৫৫ হাজার টিয়ার গ্যাস
যদিও জীবনের এই দাবিকে বিশেষ গুরত্ব দিতে চায় না তৃণমূল নেতৃত্ব। এই বিষয়ে উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ জানিয়েছেন, ‘জঙ্গলে বসে এসব উল্টোপাল্টা কথার কোনও মানে হয় না। মানুষ জানেন সত্যিটা কী। কারা উন্নয়ন করছে আর কারা বিচ্ছিন্নবাদকে উস্কে যাচ্ছেন। মানুষ যথাসময়ে এইসব ঘটনার যোগ্য উত্তর দিয়ে দেবে।’ যদিও রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের অনুমান রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে কেএলও এই ধরনের ভিডিও বা অডিও ক্লিপ আরও বেশি করে ছড়াবে। পাশাপাশি গেরুয়া শিবিরের তরফেও বার বার বাংলা ভাঙার দাবি শোনা যাবে। যদিও তাতে যে গেরুয়া শিবিরের খুব বেশি লাভ হবে এমনটা মনে করছেন না রাজনৈতিক বিশারদরা।