নিজস্ব প্রতিনিধি: ২০১৯-এর আগে তৃণমূল ছেড়ে দিল্লিতে গিয়ে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখান বিশ্বজিৎ দাস। তারপরেই ২০২১ বিজেপির টিকিটে ভোটে দাঁড়িয়ে বাগদাতে ভোটে জেতেন। কিন্তু ‘গুরু’ মুকুল রায়ের পথ অনুসরণ করেই অগস্ট মাসে তৃণমূলে যোগ দেন বিশ্বজিৎ দাস। কিন্তু আচমকাই বৃহস্পতিবারে রাতে ভোলবদল বাগদার বিধায়কের। তিনি জানিয়ে দেন এখনও বিজেপিতেই আছেন। সংবাদমাধ্যমকে বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ‘এই চারটে পৌরসভা নির্বাচনে যে ভাবে এদের পরাজয় হয়েছে, এই গোষ্ঠীকোন্দল এরকম চললে, ভালো মানুষকে ব্যবহার করতে না পারলে এরকমই হবে। বিজেপি তো ব্যবহার করতে পারেননি। বিশেষ করে এখানে সাংসদ যিনি আছেন, তিনি একক ভাবে সব চালাতে চাইছেন। এইভাবে ব্ল্যাকমেলিংয়ের ফর্মুলায় সব চলতে পারে না। আমি এখনও বিজেপিতেই আছি। বিজেপি থেকে জিতেছি। আমি তো অন্য অন্য দল থেকে জিতিনি। বিজেপি থেকে জিতেছি, বিজেপিই রয়েছি।’
বনগাঁ বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে ক্ষোভের জেরেই বিজেপি ছাড়েন বিশ্বজিৎ দাস। তৃণমূলে যোগ দিলেও নিষ্ক্রিয় ছিলেন তিনি। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার বারাসত মধ্যমগ্রামের চৌমাথার মোড়ে তৃণমূলের পার্টি অফিসেই ছিলেন তিনি। গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন তিনি। কিন্তু বাইরে বেড়িয়েই ভোলবদল। রাজনৈতিক মহলের জল্পনা, যেহেতু মুকুল রায়ের মতোই দলত্যাগ বিরোধী আইনে অভিযুক্ত বিশ্বজিৎ দাস ও কৃষ্ণ কল্যাণী, তাই মিডিয়ার সামনে কোনও প্রমাণ রাখতে চাইছেন যে তারা বিজেপিতেই আছেন। যে পথে হেঁটে মুকুল রায় বাঁচিয়ে রেখেছেন নিজের বিধায়ক পদ। সেই পথেই হাঁটতে চাইছেন বাগদার বিধায়ক।
যদিও এটা শুধুমাত্রই বিধায়ক পদ বাঁচানোর প্ল্যান বলে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ।