নিজস্ব প্রতিনিধি: বকটুই (Bagtui) কাণ্ডে ফের আদালতে গড়াল মামলা। কলকাতা হাইকোর্টের (Kolkata High Court) প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের করা হল। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে কেন ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে তাই নিয়েই এই মামলা। বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ এই বিষয়ে রাজ্যকে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। পরবর্তী শুনানির তারিখ ২৬ জুলাই। কেন ক্ষতিপূরণ দেওয়া হল এই মর্মে মামলা দায়ের করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য।
নিয়ম না মেনে বকটুই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর ক্ষতিপূরণ দিয়েছে রাজ্য (Govt)। এই অভিযোগ তুলেই দায়ের করা হয়েছে জনস্বার্থ মামলা। উল্লেখ্য, বকটুইয়ের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের হাতে রাজ্য তুলে দিয়েছে ক্ষতিপূরণের অর্থ। সেই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবারের একজনকে চাকরি দেওয়া হয়েছে। সেই চাকরি প্রথম বছর চুক্তিভিত্তিক। তারপর থেকে স্থায়ী। বকটুইয়ের ঘটনার পর এই ক্ষতিপূরণ তুলে দেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী (CM) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, মৃত্যুর বিকল্প কখনও কোনও টাকা বা চাকরি ক্ষতিপূরণ হতে পারে না। তবু বেঁচে থাকার জন্য কিছু প্রয়োজন হয়। মুখ্যমন্ত্রী কড়া নির্দেশ দিয়েছিলেন মূল অভিজুক্ত আনারুলকে গ্রেফতারের। তাঁর নির্দেশের ২ ঘণ্টা পরেই মোবাইল টাওয়ারের লোকেশন ধরে গ্রেফতার করা হয় আনারুলকে। মমতা বলেছিলেন, জঘন্য এই অপরাধীদের বরদাস্ত করা হবে না। নির্দেশ দিয়েছিলেন কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার।
পরে এই মামলার তদন্তভার হাতে নেয় সিবিআই। সোমবারের দায়ের করা মামলায় অভিযোগ, রাজ্য ক্ষতিপূরণ দিয়ে তদন্তকে প্রভাবিত করতে চাইছে। অভিযোগ, এই আর্থিক সাহায্য ও চাকরি দেওয়া অনুচিত। এদিন মামলাকারী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য সওয়াল করে বলেন, বকটুই কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন। তাঁর প্রশ্ন, কার সঙ্গে আলোচনা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে? তিনি বলেন, এর ফলে সাক্ষীরা প্রভাবিত হতে পারে।
রাজ্যকে ২ সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা জমা দিতে বলা হয়েছে।