নিজস্ব প্রতিনিধি, বক্রেশ্বর:আজি বসন্ত জাগ্রত দ্বারে, আর বসন্ত মানে রঙে রঙে রাঙানোর পালা। ঋতুরাজ বসন্তের আগমনে প্রকৃতি সেজেছে নতুন সাজে। আর প্রকৃতির পাশাপাশি বসন্তের ছোঁয়া মানুষের মনেও,বসন্ত এসে গেছে। আর বসন্ত মানেই তো দোলযাত্রা। দোলযাত্রা মূলত একটি হিন্দু বৈষ্ণব উৎসব বলেই বিবেচিত হয়। তাহলেও সর্ব ধর্মের মানুষের সান্নিধ্যের মধ্য দিয়েই উৎসবের আসল প্রাপ্তি। এই উৎসবের অপর নাম বসন্তোৎসব।ফাল্গুন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে দোলযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।
আবিরে ভেসে যাওয়া, রঙের খেলা, বাঙালির ইতিহাসে শ্রীকৃষ্ণ, শ্রীচৈতন্যদেব সব মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে।দোল উৎসবের প্রাণকেন্দ্রে রয়েছেন রাধা-কৃষ্ণ। তাঁদেরকে দোলায় বসিয়ে পূজা করা হয়। উত্তর ভারতে যেটি হোলি নামে পরিচিত, বঙ্গদেশেই তার পরিচিত নাম দোল।ইতিহাস থেকে জানা যায়, ভারতবর্ষের পূর্বাঞ্চলের প্রাচীন আরিয়ান জাতির কাছ থেকে এই উৎসবের জন্ম। হোলি উৎযাপনের ইতিহাস ঘাঁটলে জানা যায়, খ্রিস্টের জন্মেরও কয়েকশো বছর আগে থেকেই হোলি উদযাপিত হয়ে আসছে। এই উৎসবের নমুনা পাওয়া যায় খ্রিস্ট জন্মেরও প্রায় ৩০০ বছর আগের পাথরে খোদাই করা একটি ভাস্কর্যে। এই উৎসবের উল্লেখ রয়েছে হিন্দু পবিত্র গ্রন্থ বেদ এবং পুরাণেও।
৭০০ শতকে দিকে রাজা হর্ষবর্ধনের সময়ে সংস্কৃত ভাষায় লেখা একটি প্রেমের নাটিকাতেও হোলি উৎসবের বর্ণনা রয়েছে। পরে বিভিন্ন মন্দিরের গায়ে খোদাই করা চিত্রকর্মে হোলি খেলার নমুনা বিভিন্নভাবে ফুটে ওঠে। আর সেই চিত্র ও প্রতিটি জায়গার মতো প্রস্ফুটিত হয়ে ফুটে রয়েছে বীরভূমের বক্রেশ্বরে। বীরভূমের বক্রেশ্বরে দেখা যায় মানুষের ঢল এই পূর্ণিমার দিনই পূজো দিতে দেখা যায় সকল মানুষকে। বীরভূমের বক্রেশ্বরের পুরোহিতের সাথে কথা বলে জানা যায়,মন্দির চত্বরে আগত দর্শনার্থীদের ভিড় তেমনি ।সকলের পুজো দেওয়ার উৎসাহ চোখে পড়ার মতন। এই দিনে পূজো দিয়ে সকলে তাদের মনের মনস্কামনা প্রার্থনা করেন।