নিজস্ব প্রতিনিধি: গরু পাচারের মালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা CBI’র হাতে গ্রেফতার হয়েছেন বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল(Anubrata Mondol)। পরে তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল(Sukanya Mondol) গ্রেফতার হয়েছেন আরেক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ED’র হাতে। দুইজনই এখন দিল্লিতে তিহাড়ের জেলে বন্দী রয়েছেন। সদ্য সদ্য আবার রেশন বন্টন দুর্নীতির ঘটনায় ED’র হাতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক(Jyotipriya Mallik)। সেই সূত্রে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের আতশ কাঁচের নীচে চলে এসেছেন মন্ত্রী কন্যা প্রিয়দর্শনী মল্লিকও(Priyadarshini Mallik)। এবার সেই কন্যাকে নিয়েই মুখ খুললেন বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ(Dilip Ghosh)। তাঁর দাবি, কেষ্ট কন্যার মতোই জেলে যেতে হবে বালুর মেয়েকে।
রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে প্রিয়দর্শিনী ও বালুর স্ত্রী মণিদীপাকেও অ্যাটাচ করেছে ED। তাঁদের সম্পত্তিবৃদ্ধি নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। রেশন দুর্নীতি সংক্রান্ত বিষয়ে জ্যোতিপ্রিয় এবং তাঁর পরিবারের সদস্যের নামে একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বেআইনি লেনদেন হয়েছে বলে দাবি ED’র। সেই প্রসঙ্গেই সোমবার মুখ খুলেছেন দিলীপ। প্রাত্যভ্রমণে বেড়িয়ে এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। সেখানেই জ্যোতিপ্রিয়’র মেয়েকে নিয়ে দিলীপকে প্রশ্ন করেছিলেন সাংবাদিকেরা। সেই প্রশ্নের উত্তরে দিলীপ জানান, ‘কেষ্ট গ্রেফতার হওয়ার পরে তার মেয়েরও একই গতি হয়েছে। এরা নিজের পরিবারকে কী ভাবে এসবের মধ্যে ঢুকিয়ে দেয়। এরা সবাই সুবিধাভোগী। এত টাকা কোথা থেকে আসে? কেষ্ট মণ্ডলের মেয়েকেও প্রাইমারি স্কুলে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেও স্কুলে না গিয়ে বেতন পেত। এখানেও তাই হয়েছে। মানুষের সামনে এগুলো প্রকাশ পাওয়া দরকার আছে, তাহলে আগামী দিনে কেউ এরকম করবে না।’
এখানেই শেষ নয়, পুরনিয়োগ দুর্নীতিতেও ED’র আতসকাঁচের নীচে চলে এসেছে বালুর নিজের জেলা উত্তর ২৪ পরগনার প্রায় ২৭টি পুরসভার একাধিক চেয়ারম্যান এবং প্রায় ৭০জন কাউন্সিলর। সেই প্রসঙ্গেও বালু ঘনিষ্ঠ এই সব কাউন্সিলরকে নিশানা করে দিলীপ বলেন, ‘যারা পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন তাঁদেরকে ডেকেছে। বাকিরা ভয়ে ভয়ে রয়েছে। তাদের অবস্থাও বালুর মতো যেন না হয়। এই সার্বিক দুর্নীতি যা বছর বছর ধরে চলছে, তার শিকড়-বাকড় ছড়িয়ে গেছে। গোটা বিষয়টিকে দুর্নীতিমুক্ত করতে ED আর CBI’র বহুবছর লেগে যাবে কিন্তু মাথাগুলো যেন ছাড়া না পায়।’