নিজস্ব প্রতিনিধি: নিয়মিত টিকাকরণ করা হয়। তার সঙ্গে চলে আউটডোর বিভাগ। এছাড়া প্রসূতিদের শারীরিক পরীক্ষা করা হয়। শুরু হয়েছে টেলিমেডিসিন পরিষেবাও। এমনকী নিজস্ব ল্যাবরেটরিও রয়েছে। সেখান থেকে ব্লাড সুগার, হিমোগ্লোবিন সহ নানা বিষয়ের পরীক্ষা করা হয়। রোগীদের বিনামূল্যে ওষুধও সরবরাহ করা হয়। মেডিক্যাল ক্যাম্প করেও রোগীদের পরিষেবা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এই ধরনের ১২টি পরিষেবার গুণগত মান যাচাই করতে গত ডিসেম্বর মাসে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে দুই সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল এসেছিল। তাঁরা পরিদর্শনের পাশাপাশি পরিষেবার মান যাচাই করে। সেখান থেকেই উঠে আসে ১০০’র মধ্যে ৭০ নম্বর। তারপর আরও একবার আসে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। তাঁরাই দিল্লিতে ফিরে গিয়ে রিপোর্ট পাঠিয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরকে। আর সেখানে তাঁরা জানিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) বাংলায় Best Urban Primary Health Center হয়েছে বাঁকুড়া(Bankura) জেলার কেঠারডাঙা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র(Kethardanga Primary Health Center)। সমীক্ষায় এই স্বাস্থ্যকেন্দ্র ১০০’র মধ্যে ৯২ নম্বর পেয়েছে। এই সাফল্যের জেরে মোদি সরকার(Modi Government) এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উন্নয়নের জন্য ৬ লক্ষ টাকা দেবে যার ৩ দফায় মিলবে।
আরও পড়ুন মোদি-মমতার বাংলায় বার্ধক্য-বিধবা ২ ভাতার আওতায় ১৬ লক্ষ মানুষ
National Quality Assurance Standard Certification বা NQASC কর্মসূচির আওতায় বাংলার শহরতলির বুকে ছড়িয়ে থাকা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির মান যাচাইয়ে সমীক্ষা চালিয়েছিল মোদি সরকার। তার জেরেই বাংলার ২টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র এই কর্মসূচির আওতায় পুরস্কার জিতে নিয়েছে। প্রথম বাঁকুড়া শহরের পাশেই থাকা কেঠারডাঙা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, যা রাজ্যেও প্রথম হয়েছে এবং অপরটি পূর্ব মেদিনীপুরের গড় ময়না ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র। কেঠারডাঙা পেয়েছে ৯২ শতাংশ নম্বর ও গড় ময়না ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র পেয়েছে ৮২ শতাংশের বেশি নম্বর। পরিষেবায় গুণগত মান বিচারে রাজ্যের সেরা বাঁকুড়ার কেঠারডাঙা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। এর জেরে কেন্দ্র সরকার আগামী ৩ বছরে ৩ দফায় মোট ৬ লক্ষ টাকা দেবে বাঁকুড়ার এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দ্রের পাঠানো টাকা ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিকাঠামো উন্নয়নেই কাজে লাগানো হবে। এলাকার মানুষকে কথায় কথায় যাতে আর জেলা হাসপাতালে গিয়ে ভিড় করতে না হয় তার জন্য এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে আস্তে আস্তে মিনি হাসপাতালের রূপ দেওয়া হবে। সেখানে বেডের সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি অপারেশনের ব্যবস্থাও করা হবে।