নিজস্ব প্রতিনিধি: এ যেন বাঁকুড়ায় দেখা গেল রবিনসনের ছায়া। ভাইয়ের পচাগলা দেহ আগলে বসে আছেন দাদা- বৌদি। ঘটনায় এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগে পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ। দেহ পচে গেলেও মৃতের দাদা- বৌদি দাবি করেন, ভাইয়ের মৃত্যু (Death) হয়েছে গত শুক্রবার।
জানা গিয়েছে, বাঁকুড়ার দোলডাঙার বাসিন্দা সনৎ কর্মকার (৫৬)। তাঁরই মৃত্যু হয়েছে। তিনি থাকতেন দাদা ও বৌদির সঙ্গে। দাদার নাম অশোক কর্মকার। তাঁদের পেশা রেডিও এবং টেপ সারানো। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি অসুস্থ হয়েছিলেন অশোক। তারপর থেকেই আর তাঁর খোঁজ পাওয়া যেত না।
এরপর সনৎদের বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে এলাকা জুড়ে। অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে এলাকাবাসী। স্থানীয়রা খবর দেয় পুলিশে (Police)। খবর পেয়েই পুলিশ আসে কর্মকারদের বাড়িতে। দেখা যায়, পচা দেহ পড়ে আছে। সামনেই দাদা আর বৌদি। এরপর দেহ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য তা পাঠানো হয়েছে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে (Hospital)। চিকিৎসকরা দেহ পরীক্ষা করে জানান, মৃত্যু হয়েছিল প্রায় ২ দিন আগে। দেহে পচন ধরতে শুরু করেছে। যদিও মৃতের দাদা- বৌদির দাবি তাঁদের ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে মাত্র ১ দিন আগে দুপুরে। প্রশ্ন উঠছে, তবে জানানো হয়নি কেন? পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, ঘটনার তদন্ত চলছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কী কারণে মৃত্যু, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।