নিজস্ব প্রতিনিধি: টার্গেট দলবদলু বিধায়কেরা। মূলত যারা তৃণমূলে(TMC) গিয়েছেন। এর আগে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী(Krishna Kalyani) তাঁদের টার্গেট হয়েছিলেন। কেননা তিনি বিজেপির(BJP) হয়ে জিতে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। যদিও সেই তল্লাশিতে কিছু মেলেনি। সেই একই পথে হেঁটে এদিন হানা দেওয়া হয়েছে কংগ্রেসের(INC) প্রতীকে জিতে তৃণমূলে যোগ দেওয়া মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘীর বিধায়ক বায়রন বিশ্বাসের(Bayron Bishwas) বাড়িতে। কৃষ্ণ কল্যাণীর বাড়িতে হানা দিয়েছে কেন্দ্রীয় আয়কর দফতরের আধিকারিকদের পাশপাশি ED’র আধিকারিকেরাও। তবে বায়রনের বাড়িতে গিয়েছেন শুধুই আয়কর দফতরের আধিকারিকেরা। অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই আয়কর ফাঁকি দিয়ে এসেছেন তিনি। সেই সূত্রেই এদিনের হানাদারি(IT Raid)। দেখার বিষয় কিছু মেলে কিনা, নাকি কৃষ্ণ কল্যাণীর মতোই খালি হাতেই ফিরতে হয় কেন্দ্রীয় এজেন্সির আধিকারিকদের।
সূত্রের খবর, তল্লাশি চালাতে মঙ্গলবার রাতেই আয়কর কর্তারা পৌঁছে গিয়েছিলেন মুর্শিদাবাদ। বুধবার ভোর থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ঘিরে শুরু হয় অভিযান। বাইরনের বাড়ি, গুদাম, নার্সিংহোম-সহ বিধায়কের একাধিক প্রতিষ্ঠানে একযোগে অভিযান চলছে। রঘুনাথগঞ্জে বাইরনের স্কুলেও তল্লাশি চালাচ্ছেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। বিড়ি শিল্প, নার্সিংহোম ছাড়া আরও বেশ কিছু ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বায়রন। আয়কর দফতরের কাছে অন্তত সেইরকমই নাকি তথ্য রয়েছে। সেই সংক্রান্ত ব্যবসায়িক লেনদেনের হদিশ পেতেই আয়কর হানা। তবে শুধু বাইরন নন, তাঁর ব্যবসা দেখভাল করেন যে ঘনিষ্ঠরা, তাঁদেরও জিজ্ঞাসাবাদ এবং তাঁদের বাড়িতেও তল্লাশি চালাচ্ছে আয়কর দফতর।
বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী হিসাবে উপনির্বাচনে জয়লাভ করেছিলেন বাইরন। তাঁর মাধ্যমে বিধানসভায় খাতা খোলে কংগ্রেস। যদিও বেশি দিন কংগ্রেসে থাকেননি বাইরন। ফলপ্রকাশের কয়েক মাসের মধ্যেই অবশ্য তিনি তৃণমূলে যোগদান করেন। বুধবার সকালে বিধায়কের সামসেরগঞ্জের বাড়িতে হানা দিয়েছেন আয়কর দফতরের আধিকারিকেরা। বীরভূমেরও একাধিক এলাকাতেও আয়কর হানা চলছে। বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরে তিনি কর ফাঁকি দিয়েছেন। সেই কারণেই হানা দিয়েছেন আয়কর বিভাগের আধিকারিকেরা।