এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

কৃষি প্রকল্পের সুবিধা পেতে Whatsapp Number চালু করল কৃষি দফতর

Courtesy - Facebook and Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলার কৃষকদের(Bengal Farmers) আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সরকার একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে। চালু হয়েছে কৃষকবন্ধু প্রকল্প, বাংলা শস্য বিমা যোজনা, জোর দেওয়া হয়েছে কিষাণ ক্রেডিট কার্ডে, চালু করা হয়েছে কৃষি পরিকাঠামো উন্নয়নের লক্ষ্যে ঋণ প্রদানের প্রকল্পও। তবে সব থেকে বেশি জোর দেওয়া হয়েছে কৃষকবন্ধু(Krishak Bandhu) প্রকল্পের ওপরে। এবার রাজ্যের কৃষকেরা সেই সব প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন কিনা তা খতিয়ে দেখতে একটি Whatsapp Number চালু করল রাজ্যের কৃষি দফতর(West Bengal State Agriculture Department)। নম্বরটি হল 9830383383। দুয়ারে সরকারের(Duyare Sarkar) শিবির থেকে এই নম্বরটির জোরদার প্রচার করছেন কৃষি দফতরের আধিকারিরা। এতদিন এই সব প্রকল্পের সুবিধা তাঁদের Bank Account-এ আসছে কিনা তা জানতে কৃষকদের কৃষি দফতর কিংবা Bank-এ যেতে হতো। এবার থেকে তাঁরা ঘরে বসেই ওই Whatsapp Number’র মাধ্যমে সেই তথ্য জানতে পারবেন।

রাজ্যের কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলার কৃষকেরা যারা কৃষকবন্ধু প্রকল্পে নথিভুক্ত হয়ে আছেন তাঁরা প্রকল্পের টাকা নিয়মিত কী না, কিংবা বাংলা শস্য বিমা প্রকল্পে বিমার টাকা চাষিরা পেয়েছেন কী না, তা এবার থেকে ওই Whatsapp Number’র মাধ্যমেই জানতে পারবেন ও জানাতেও পারবেন। ওই Whatsapp Number-এ ইংরেজিতে ‘Hai’ অথবা ‘Hallo’ কিংবা বাংলায় ‘নমস্কার’ লিখলেই স্বয়ংক্রিয় মেসেজ আসবে। তারপর সেখান থেকে কৃষকেরা নিজেদের আধার কার্ডের নম্বর দিয়ে কৃষকবন্ধু অথবা বাংলা শস্য বিমা প্রকল্পের বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন। একই সঙ্গে এটাও জানা গিয়েছে, রাজ্যের আরও বেশি সংখ্যক প্রকৃত চাষি যাতে রাজ্য সরকারের কাছে সরকারি দামে আরও বেশি করে ধান বিক্রি করতে পারে তার জন্য আরও সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ এসেছে নবান্ন থেকে। সেই সূত্রেই স্থায়ী ধান ক্রয় কেন্দ্র ও গাড়িতে ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

জানা গিয়েছে, চলতি মরশুমে স্থায়ী ও ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্রের সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ৫০০ এবং ৬১টি। সেই জায়গায় আরও মোট ৮০টি স্থায়ী ও ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। একই সঙ্গে সামনের মরশুম থেকেই একজন চাষি রাজ্য সরকারকে সর্বোচ্চ ৯০ কুইন্টাল পর্যন্ত ধান যাতে বিক্রি করতে পারন, সেই পদক্ষেপও করা হচ্ছে। চলতি মরশুমের প্রথমে এটা ছিল ৪৫ কুইন্টাল। জুন থেকে তা ৯০ কুইন্টাল করা হয়। সেই মাপটাই আগামী মরশুমেও ধরে রাখছে রাজ্য সরকার। উল্লেখ্য, রাজ্য সরকারের উদ্যোগে ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা ২০২৩-২৪ খরিফ মরশুমে বাড়িয়ে ৭০ লক্ষ টন করা হয়েছে। ২০২২-২৩ মরশুমে এই লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬০ লক্ষ টন। এই ব্যবস্থায় রাজ্যের ১৬ থেকে ১৮ লক্ষ কৃষক উপকৃত হবেন। সরকারি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, নতুন খরিফ মরশুম অক্টোবরে শুরু হলেও সরকার ধান কেনা শুরু করে নভেম্বর থেকে। তবে নতুন ধান ওঠার পর বেশিরভাগ কেনার কাজটা হয় ডিসেম্বর-ফেব্রুয়ারি, তিনমাসে। এবারও ডিসেম্বরে মোট ১২ লক্ষ টন, জানুয়ারিতে ২৪ লক্ষ টন ও ফেব্রুয়ারিতে ১৯ লক্ষ টন কেনার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য হয়েছে। অর্থাৎ এই তিনমাসেই সরকার ৭০ লক্ষ টনের মধ্যে ৫৫ লক্ষ টন ধান কিনতে চাইছে।

আবার খোলা বাজারের তুলনায় সরকার নির্ধারিত দাম সাধারণত অনেকটা বেশি থাকে। আগামী খরিফ মরশুমে দাম অনেকটা বাড়িয়ে কুইন্টাল প্রতি ২,১৮৩ টাকা করা হয়েছে। স্থায়ী কেন্দ্রে ধান বিক্রি করলে চাষি প্রতি কুইন্টালে আরও ২০ টাকা করে পাবেন। স্থায়ী কেন্দ্র ছাড়াও অস্থায়ী শিবির খুলেও প্রচুর ধান কেনা হয়। এবার প্রত্যন্ত গ্রামে শিবির খোলার ওপর জোর দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। ধান কেনায় স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্য এবার সরকার আরও বেশি তৎপর। ফড়েরা যাতে সরকারি ব্যবস্থার সুবিধা নিয়ে ধান বিক্রি করে ফায়দা লুটতে না পারে তার জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। চাষিদের নাম নথিভুক্তি এবং ধান বিক্রির সময় আধারের বায়োমেট্রিক যাচাই করা হবে। চাষির জমির পরিমাণ কৃষক বন্ধু পোর্টাল থেকে খতিয়ে দেখেই কেনা হবে উপযুক্ত পরিমাণ ধান। বেনামে বিক্রি আটকাতেই এই ব্যবস্থা।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

সন্দেশখালি কাণ্ডের কিনারায় এখন শেখ শাহজাহানের ভাই আলমগীরই মূল ভরসা সিবিআইয়ের?

মালদায় নির্বাচনী প্রচারে খগেন মুর্মুকে গরু – ভেড়ার সঙ্গে তুলনা করলেন ফিরহাদ হাকিম

নাম বিভ্রাটের জেরে নিরাপরাধ গৃহবধূকে গ্রেপ্তার করে আদালতে এনে বাড়ি পৌঁছে দিল পুলিশ

তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে কোথাও পুলিশ লাগালো গাছ, কোথাও আবার ডিউটির ফাঁকে করলেন রক্তদান

তীব্র দাবদাহ থেকে বাঁচতে শান্তিপুরে ব্যাঙের বিয়ে দিলেন গ্রামবাসীরা

কৃষ্ণনগরের দর্জি তাক লাগিয়ে দিলেন ১৪৪ বর্গফুটের লুডো তৈরি করে

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর