নিজস্ব প্রতিনিধি: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) ঘোষণায় চূড়ান্ত রকম বিপাকে পড়ে গিয়েছে বঙ্গ বিজেপি(Bengal BJP) নেতৃত্ব। কেননা বৃহস্পতিবারই মুখ্যমন্ত্রী ঝাড়গ্রাম থেকে ইঙ্গিত দিয়েছেন চলতি বছরে বর্ষা শেষ হলেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের(Panchayat Election) দিনক্ষণ ঘোষণা করে দেওয়া হতে পারে। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, যেহেতু রাজ্য সরকার পঞ্চায়েত নির্বাচন ৬ মাস এগিয়ে আনতে পারে বা পিছিয়ে দিতে পারে তাই চলতি বছরের নভেম্বর মাসে এই ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করে দিয়ে ডিসেম্বর মাসে ভোট করিয়ে নেওয়া হতে পারে। আর এখানেই চূড়ান্ত বিপাকে বাংলার বিজেপি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য বঙ্গ বিজেপি যে বিন্দুমাত্র প্রস্তুত নয় সেটা এখন প্রকাশ্যে স্বীকার করে নিচ্ছেন দলের নেতারা। আরও চাঞ্চল্যকর খবর এটাই, সূত্রে জানা গিয়েছে, দলের এহেন হাল নিয়ে এবাত দলেরই কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে রিপোর্ট দাখিল করতে চলেছেন খোদ বঙ্গ বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার(Sukanta Majumdar)।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকাল ঝাড়গ্রাম স্টেডিয়ামে আয়োজিত দলের কর্মীসভায় জানিয়ে দেন, ‘মানুষের কাজ ফেলে রাখা যাবে না। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সব কাজ শেষ করতে হবে। যে কোনও দিন পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণা করা হবে।’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এহেন ঘোষণায় এখন রীতিমত চাপে পড়ে গিয়েছে বিজেপি। কেন? এদিন থেকেই রাজস্থানের জয়পুরে শুরু হয়েছে বিজেপির কর্মসমিতির বৈঠক। সূত্রের খবর, সেখানেই বঙ্গ বিজেপির সভাপতি যে রিপোর্ট দাখিল করতে চলেছেন সেখানে পরিষ্কার ভাবে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে একুশের নির্বাচনের পর থেকে সংগঠন ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত বুথ কমিটি, সব মণ্ডল কমিটি–সহ নানা কমিটি গঠন করা সম্ভব হয়নি। বরং কমিটি গঠন নিয়ে দলের অন্দরে চুলোচুলি অবস্থা। জেলা কমিটির পর মণ্ডল কমিটি গঠন শুরু হতেই দলের ভিতর বিদ্রোহ দেখা দিয়েছে। দল ছাড়ার হিড়িক পড়েছে। রাজ্য নেতৃত্বের উপর ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। এই অবস্থায় জেলায় জেলায় সংগঠন মুখ থুবড়ে পড়েছে। নিষ্ক্রিয় হয়ে গিয়েছেন বহু নেতা। তাই বাংলায় পঞ্চায়েত নির্বাচন এগিয়ে এলে আবার দলকে শোচনীয় ফলাফল দেখতে হবে।
শুক্রবার জয়পুরের পথে রওয়ানা দেওয়ার আগে নয়াদিল্লিতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি তথে বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, ‘বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই রাজ্যজুড়ে সন্ত্রাস চলছে। আমাদের বহু নেতাকর্মী এখনও ঘরছাড়া। শাসকদল চায় না পঞ্চায়েতে শান্তিপূর্ণ ভোট হোক। অনেক জায়গাতেই বিরোধীদের মনোনয়ন পেশ করতে দেওয়া হয়নি। জেলা কমিটি গঠন হয়েছে। মণ্ডল কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া চলছে। এর পর বুথ কমিটি গঠন করা হবে।’