এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

সিত্রাংয়ের জন্ম হোক বা না হোক ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা কালিপুজোয়

নিজস্ব প্রতিনিধি: কানাডার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় সম্প্রতি আশঙ্কা ছড়িয়ে পড়েছে কার্যত গোটা পূর্ব ও দক্ষিণ পূর্ব ভারতে। কেননা সেই গবেষণায় দাবি করা হয়েছে চলতি মাসে দক্ষিণ আন্দামান সাগরে(South Andaman Sea) একটি নিম্নচাপের জন্ম হবে। সেই নিম্নচাপ ক্রমশ শক্তি বাড়িয়ে সুপার সাইক্লোনে পরিণত হবে। নাম হবে তার ‘সিত্রাং’(Sitrang)। তারপর তা ক্রমশ উত্তর দিকে এগিয়ে এসে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে বাংলাদেশের মধ্যে কোনও এক জায়গায় আছড়ে পড়বে। ভূমিস্পর্শকালে তার গতিবেগ হবে ঘন্টায় ২৫০কিমি। কার্যত এর জেরেই আশঙ্কা ছড়িয়ে পড়েছে। যদিও এই দাবিকে মান্যতা দিতে চাইছেন না এদেশের সরকারি আবহাওয়া সংস্থাগুলি। তা সে দিল্লির মৌসম ভবন(Mausam Bhawan) হোক কী বাংলার আলিপুর আবহাওয়া দফতর। বরঞ্চ তাঁদের পাল্টা দাবি, কানাডার যে বিশ্ববিদ্যালয় এই তথ্য তুলে ধরেছে তাঁরা এর আগেও এই ধরনের অনেক ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার দাবি করেছে, যদিও বাস্তবে তেমন কিছুই হতে দেখা যায়নি। এবারে এখনও পর্যন্ত কোনও সুপার সাইক্লোনের(Super Cyclone) জন্মের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। তবে একটা ঘূর্ণাবর্ত জন্ম নেবে। তা থেকে বৃষ্টি হবে।

আলিপুর আবহাওয়া দফতরের দাবি, কানাডার যে বিশ্ববিদ্যালয় এই সুপার সাইক্লোনের খবর ছড়িয়ে দিয়েছে তাঁদের অনেক দাবিই ভারতীয় উপমহাদেশের ক্ষেত্রে মেলে না। তুলনায় আইএমডি(IMD) বা ইন্ডিয়া মেটেরোলোজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট অনেক নির্ভুল রিপোর্ট তুলে ধরে। তাঁরাই এখনও পর্যন্ত এই ধরনের কোনও সুপার সাইক্লোনের জন্ম নেওয়া বা তা ভারেতের পূর্ব উপকূলে আছড়ে পড়ার কোনও সতর্কবার্তা শোনায়নি। তাই এখনই এই বিষয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। সেই রকম কিছু হলে আগে থেকেই সবাইকে সতর্ক করে দেওয়া হবে। তবে আগামী ১৮ অক্টোবর নাগাদ আন্দামান সাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হবে। ১৯ তারিখ থেকে তার প্রভাব পড়তে শুরু করবে। ২০ অক্টোবরের পর এটি সমুদ্র পৃষ্ঠে শক্তি সঞ্চয় করে পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। প্রাথমিকভাবে এর অভিমুখ অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তামিলনাড়ু উপকুল। সরাসরি এ রাজ্যে এর প্রভাব পড়বে না বলেই মনে করা হচ্ছে। ১৯ তারিখ পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে কোনও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।

আলিপুর আবহাওয়া দফতর এটাও জানিয়েছে, আগামী তিন দিনের মধ্যে বাংলা থেকে বর্ষা বিদায় নিচ্ছে। তবে রাজ্যে থেকে বর্ষা বিদায় নেওয়ার পর খটখটে শুকনো পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে না। তবে আশা করা হচ্ছে বৃষ্টির পরিমাণ কমবে। সেই সঙ্গে কিছু কিছু জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হবে। আগামী ১৬ অক্টোবর থেকে উত্তরবঙ্গেও বৃষ্টির পরিমাণ কমবে। দক্ষিণবঙ্গের ক্ষেত্রে বজায় থাকবে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি। তাপমাত্রারও তেমন কোনও পরিবর্তন হবে না। উত্তরবঙ্গে অবশ্য ইতিমধ্যেই শীতের আমেজ মিলতে শুরু করে দিয়েছে। সেখানে এখন সন্ধ্যার পর থেকেই তাপমাত্রা কমতে দেখা যাচ্ছে। অনুভূতি হচ্ছে হাল্কা শীতের। শুক্রবার কাকভোরে জলপাইগুড়ি শহরে ঘন কুয়াশাও দেখা গিয়েছে। শনিবারও একই ছবি ধরা পড়েছে। রাস্তাঘাট, নদীর পাড় ঢেকে গিয়েছে ঘন কুয়াশায়। আবহাওয়াবিদদের দাবি, ভোরের দিকে জমাট বাঁধা কুয়াশা কার্যত বর্ষা বিদায়ের ইঙ্গিত। যা এখন জলপাইগুড়ির ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে তা আগামী সপ্তাহ থেকে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক শহরেই দেখা যাবে। একই সঙ্গে এই সময় দিনের বেলায় তাপমাত্রা বেশি থাকলেও রাতের তাপমাত্রা হাল্কা শীতের আমেজ দেবে। এই প্রক্রিয়াতেই ধীরে ধীরে আবহাওয়া শীতের দিকে এগবে। এখনও পর্যন্ত যা গতিপ্রকৃতি, তাতে বাংলায় এবার শীতের ছোঁয়া মেলার সম্ভাবনা নভেম্বরের শেষ বা ডিসেম্বরের শুরুতে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

পরবর্তী দু’দফার ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী বাড়ছে, জানালেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক

১৯ মে নাগাদ আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে প্রবেশ করছে বর্ষা: আবহাওয়া দফতর

অনুব্রত মণ্ডলকে জেলে ভরে ভোট আটকানো যাবে না, প্রমাণ করল জনতা: শতাব্দী রায়

লেশমাত্র টেনশন নেই, ভোটের দিন দেদার নিজস্বী তুলে সময় কাটালেন মহুয়া

নদিয়ায় ইভিএম বিভ্রাট, সব ভোট নাকি পড়ছে বিজেপিতে, তুমুল উত্তেজনা দিনভর

স্মৃতিচারণ থেকে কটাক্ষ, উনিশের সংঘর্ষ থেকে বন্দুকের কারখানা, নোয়াপাড়ায় ছুঁয়ে গেলেন মমতা

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর