নিজস্ব প্রতিনিধি: সাগরের সব জলীয় বাষ্প শুষে নিয়েও ঘূর্ণিঝড়ের(Cyclone) রূপ নিতে পারল না ইন্দোনেশিয়ার বান্দা উপকূলে জন্ম নিয়ে বঙ্গোপসাগরে(Bay of Bengal) হাজির হওয়া নিম্নচাপ। মূলত বঙ্গোপাসাগরের জল ঘূর্ণিঝড় তৈরির মতো উষ্ণ না হয়ে ওঠার কারণেই ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হতে পারেনি ওই নিম্নচাপ, এখন তেমনটাই দাবি করছেন আবহাওয়াবিদরা। একই সঙ্গে তাঁরা এটাও জানিয়েছেন, মঙ্গলবার বিকালেই ওই নিম্নচাপ উত্তর মায়ানমার উপকূল দিয়ে মূল স্থলভূমিতে ঢুকে পড়বে। সেখানে ঝোড়ো হাওয়া ও কয়েক দফা ভারী বৃষ্টিপাত ঘটিয়ে বাংলাদেশ পাড়ি দেবে ওই নিম্নচাপ। তবে ওই নিম্নচাপের কোনও প্রভাব বাংলায় প্রত্যক্ষ ভাবে পড়বে না। তবে আজ ও আগামিকাল দার্জিলিং কালিম্পংয়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। বাকি জেলাগুলি শুধু যে আগামি কয়েকদিন শুষ্কই থাকবে তাই নয়, কার্যত চাঁদি ফাটা গরমের মুখ পড়বে।
মঙ্গলবার ভোরে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ২৫.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আলিপুর আবহাওয়া(Weather) দফতর থেকে জানানো হয়েছে, রাজ্যে আপাতত বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। কলকাতায় আকাশ আগামি কয়েক দিন পরিষ্কারই থাকবে। তাপমাত্রা ৩৫ থেকে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যেই থাকবে। বেলা বাড়লে তাপমাত্রা বাড়বে চড়চড়িয়ে। সেক্ষেত্রে কলকাতাতেই পারা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যাবে। মঙ্গলবার কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রির আশেপাশে থাকবে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। আপাতত চাঁদিফাটা গরমই সহ্য করতে হবে রাজ্যবাসীকে। হাঁসফাঁস গরম থেকে স্বস্তি পাবেন না দক্ষিণবঙ্গের বাসিন্দারা। দক্ষিণবঙ্গের কোনও জেলাতেই আপাতত বৃষ্টিপাতের কোনও সম্ভাবনাই নেই। বরঞ্চ আগামী সপ্তাহ থেকেই দক্ষিণবঙ্গের(South Bengal) জেলাগুলি তাপপ্রবাহের(Heat Wave) মুখে পড়ে যেতে চলেছে। রাজ্যের পশ্চিমের জেলাগুলিতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি ছুঁয়ে ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা থাকছে।