এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

কেন্দ্রকে কড়া বার্তা রাজ্যের, বৈঠকে ‘না’ নবান্নের

নিজস্ব প্রতিনিধি: ‘সহযোগিতা’(Co-Operation)র পালা কী এবার শেষ হতে চলেছে? প্রশ্নটা উঠে এল রাজ্য সরকারের(West Bengal State Government) পদক্ষেপে। তবে সেই পদক্ষেপ বাংলার(Bengal) জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কেননা বাংলার মানুষকে ভাতে মারার তাল করেছে কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন মোদি সরকার(Modi Government)। আটকে রাখা হচ্ছে একের পর এক কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা। তার মধ্যে যেমন ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের(100 Days Work Project) টাকা আছে তেমনি আছে আবাস যোজনার টাকা। আছে মিড ডে মিলের(Mid Day Meal) টাকাও। বার বার সেই টাকা চেয়ে সরব হ্যেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। কিন্তু কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন নরেন্দ্র মোদির(Narendra Modi) সরকার এই নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছে। ১ টাকাও পাঠানো হয়নি বাংলার জন্য। তাই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই এবার কড়া হচ্ছেন রাজ্যের আধিকারিকেরাও। সে সরকার বাংলাকে বঞ্চনা করবে, বাংলাকে ভাতে মারার ষড়যন্ত্র করবে, সেই সরকারের সঙ্গে আর কোনও সহযোগিতা নয়। তাই কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের ডাকা বৈঠকে সম্ভবত যোগ না দেওয়ারই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নবান্নের আধিকারিকেরা। নবান্ন(Nabanna) সূত্রে তেমনটাই জানা যাচ্ছে।

আরও পড়ুন CAG-এর রিপোর্টে মুখ পুড়ল মোদি সরকারের, নেপথ্যে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ

নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি অর্থবর্ষে আবাস প্রকল্পের কাজ রাজ্যে কতটা এগিয়েছে, তা জানিয়ে আগামী বছরের পরিকল্পনা জমা দিতে চিঠি পাঠিয়েছে কেন্দ্র। এই আবর্তে, ২০ এবং ২১ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের পঞ্চায়েত সচিব সহ উচ্চপর্যায়ের আধিকারিকদের নয়াদিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক। ওইদিন প্রতিটি রাজ্যের পঞ্চায়েত সচিবদের নিয়ে বৈঠক করার কথা কেন্দ্রীয় সরকারের। সেখানেই উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে বাংলার আধিকারিকদেরও। তবে, এই ক্ষেত্রে রাজ্যের অবস্থান কী হবে, অর্থাৎ রাজ্য সেই বৈঠকে যোগ দেবে কি না, তা নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। নবান্ন সূত্রে দাবি, বৈঠকে না যোগ দেওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। কেননা কেন্দ্র সরকার আবাস যোজনা ও ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের টাকা আটককে রেখেছে। মুখ্যমন্ত্রী এই নিয়ে বার বার সরব হয়েছেন, রাজ্য সরকারও প্রতিটি নিয়ম মেনে কাজ সেরেছে, এমনকি কেন্দ্র যখন যা জানতে চেয়েছে, যা তথ্য চেয়েছে সেটাও দ্রুত পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারপরেও কেন্দ্র সরকার হাত গুটিয়ে বসে আছে। তাই এবার নবান্নের দিক থেকেও পদক্ষেপ হবে। আর সেই পদক্ষেপ হল বৈঠকে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত। যদিও সরকারি ভাবে এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।

আরও পড়ুন হুগলির গ্রাম থেকে শহর, ২৫টি জলপ্রকল্প পুনর্গঠনে ২৬০ কোটি টাকা

প্রসঙ্গত, ৮ ফেব্রুয়ারি বাংলা তথা সমস্ত রাজ্যকেই চিঠি পাঠিয়ে ২০২৩-২৪ সালের আবাস প্রকল্প সংক্রান্ত বার্ষিক পরিকল্পনা (অ্যানুয়াল অ্যাকশন প্ল্যান) জমা দিতে বলা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। একই সঙ্গে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন আকারে গত বছরের কাজের অগ্রগতি এবং সমস্যার কথাও জানাতে বলা হয়েছে। কিন্তু মজার কথা যে প্রকল্পের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছে সেই প্রকল্পের টাকাই আটকে রাখা হয়েছে। টাকাই যদি না আসে তাহলে বৈঠকে যোগ দেওয়ার অর্থ কী? রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে কেন্দ্রের এই সব পদক্ষেপ তৃণমূলকে কোনঠাসা করার জন্য করা হচ্ছে বলে জোড়াফুল শিবিরের দাবি। কিন্তু তাঁদের এটাও দাবি, এই সব পদক্ষেপ করে তৃণমূলকে আটকে রাখা যাবে না। বরঞ্চ কেন্দ্রের এই পদক্ষেপে গ্রাম বাংলার মানুষই পদ্মশিবিরকে সজোরে প্রত্যাখান করবে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে চাষের জমি লুটের অভিযোগ শেখ শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে

রবিবার থেকে জেলায় জেলায় শুরু হবে বৃষ্টি, সোমবার ভিজতে পারে কলকাতা

‘উনি কেন এখনও ফর্ম ফিলাপ করেননি?’, নাম না করে শান্তনুকে CAA খোঁচা মমতার

শেখ শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে জমি হাতানোর অভিযোগ

‘এখন থেকে আমি আর মোদিবাবুর নাম নেব না, বড্ড মিথ্যে কথা বলেন’

বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে দেখা করেই মৃত্যু মাধ্যমিক উত্তীর্ণ  ছাত্রীর

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর