নিজস্ব প্রতিনিধি: মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছে কোচবিহার(Coachbehar) জেলায়। গত রবিবার রাতে জেলার মেখলিগঞ্জ(Mekhliganj) থানার চ্যাংড়াবান্দা এলাকায় জেনেরেটর থেকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গিয়েছেন ১০জন পূণ্যার্থী। এদের কেউ ১৬ তো কেউ ২৬। কার্যত অকালেই ঝরে গিয়েছে তরতাজা প্রাণ। এরা সকলেই জেলার শীতলকুচি(Sitalkuchi) এলাকার বাসিন্দা। ২৭ জনের একটি দল রবিবার রাতে একটি পিক আপ ভ্যানে করে ডিজে লাগিয়ে নাচতে নাচতে জল্পেশ মন্দিরের পথে রওয়ানা হয়েছিলেন শিবের মাথায় জল ঢালবার জন্য। উদ্দেশ্য ছিল সোমবার সকালে জল্পেশ মন্দিরে পৌঁছে বাবার মাথায় জল ঢালা। কিন্তু তার আগেই ডিজে বাজাবার জন্য পিক আপ ভ্যানে তোলা জেনেরেটরের তার ছিঁড়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান ১০জন। সেই পূণ্যার্থীদের পরিবারের হাতে মঙ্গলবার রাজ্য সরকারের তরফে ২ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণের চেক তুলে দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস(Arup Biswas)।
মঙ্গলবার কোচবিহারের শীতলকুচি পৌঁছন রাজ্যের বিদ্যুৎ দফতরের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে মৃত পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করেন তিনি। শীতলকুচির ব্লক প্রশাসনের তরফে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সেই সাক্ষাৎ হয়। সেখানেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দশজনের মৃত্যুর ঘটনায় সরকারি তরফে মৃতদের পরিবারের হাতে ২ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন অরূপবাবু। এদিনের অনুষ্ঠানে অরূপবাবু ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কোচবিহারের জেলাশাসক পবন কাদিয়ান, সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক জগদীশচন্দ্র বসুনিয়া, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বিনয় কৃষ্ণ বর্মণ, কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক, জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান গিরীন্দ্রনাথ বর্মণ সহ অন্যান্যরা। মৃত ১০জন পুণ্যার্থীর পরিবারের হাতে চেক তুলে দিয়ে তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।
পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘সমবেদনা জানানোর কোনও ভাষা নেই। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার রাত্রিবেলা। সেই ঘটনার কথা জানতে পেরেই মুখ্যমন্ত্রী সোমবার সকালে তড়িঘড়ি আমাকে এখানে আসার নির্দেশ দেন। সে মতো সোমবার জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে আহতদের দেখে এদিন এখানে এসেছি। নিহতদের পরিবারের হাতে দু লক্ষ টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়েছে। সন্তান হারানোর ব্যথা কোনও ভাবেই পূরণ করা যায় না। রাজ্য সরকার সব সময় পরিবারগুলির পাশে রয়েছে। ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসন তারা এই গোটা ঘটনার তদন্ত করছে।’