নিজস্ব প্রতিনিধি: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাশাসক (DM) আয়েশা রানি প্রায় দেড় মাস আগে এক রাতে হানা দিয়েছিলেন দেশপ্রাণ বীরেন্দ্র সেতুতে। উল্লেখ্য, দেশপ্রাণ বীরেন্দ্রনাথ শাসমল নামাঙ্কিত এই সেতু। এই সেতুর স্থানীয় নাম মোহনপুর ব্রিজ। উল্লেখ্য, বেশ কয়েক মাস আগে এই সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল ৮ টনের বেশি ওজনের ট্রাক যাতায়াত করতে পারবে না। তা অমান্য হতে দেখেই গর্জে উঠেছিলেন জেলাশাসক। বলেছিলেন, ‘মাঝেরহাট হতে দেব না’। সেই বক্তব্য ভাইরাল হয়েছিল আগেই। অবশ্য ভাইরাল মানে ছবি বা ভিডিওতে নয়। ভাইরাল হয়েছিল লেখা আর স্থানীয়দের মুখে মুখে। আবার স্মৃতি ঠেলে উঠে এল সেই বিখ্যাত বক্তব্য। রাজ্যে যে ১২টি সেতু যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মেরামত হবে। সেই তালিকায় সবার প্রথমেই থাকছে এই ব্রিজ।
উল্লেখ্য, এখানেই তৈরি হচ্ছে বিকল্প সেতু। তবে এই বীরেন্দ্র সেতুতেও হবে মেরামত। ১৯৭২ সালে তৈরি হয়েছিল এই সেতু। কংসাবতী নদীর ওপর অবস্থিত এই সেতু ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপরে। জানা গিয়েছে, ৫০ বছর পেরানো সেতু মেরামত দিয়েই শুরু হবে বাংলা জুড়ে ১২টি বেহাল সেতু সারাইয়ের কাজ। শুধু তাই নয়, নবান্ন সূত্রে খবর, পিডব্লুডি’র (PWD) অধীনে থাকা ২হাজার ১০৯টি সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষাও হবে।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার নবান্নে (NABANNA) পূর্ত দফতরের আধিকারিকদের একটি বৈঠক হয়েছিল। সেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, পূর্ত দফতরের অধীনে থাকা প্রায় ২হাজার ১০৯টি সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। জানা গিয়েছে, নভেম্বরেই হবে স্বাস্থ্য পরীক্ষা। সেখানেই বলা হয়েছিল, দ্রুত মেরামত হবে ১২টি সেতু। আর মেরামতের তালিকায় প্রথমেই থাকছে ‘বীরেন্দ্র সেতু’। স্থানীয়রা এখন এই সেতুকে ভালোবেসে অন্য নামেও ডাকেন। মুখে মুখে নাম, ‘মাঝেরহাট হতে দেব না’ সেতু। জানা গিয়েছে, সাধারণ মানুষের সুরক্ষার কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: BREAKING: নভেম্বরেই মেরামত হবে বাংলার ১২টি সেতু, সিদ্ধান্ত নবান্নের