নিজস্ব প্রতিনিধি: খাতায় কলমে তিনি এখনও বিজেপির(BJP) বিধায়ক। যদিও তা সত্ত্বেও তাঁর তৃণমূলে(TMC) যোগদান দেওয়া যেমন আটকায়নি, তেমনি দলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি হওয়াও আটকায়নি। এবার তিনিই মুখ খুললেন বিজেপিরই এক বিধায়কের বিরুদ্ধে। যে বিধায়কের বিরুদ্ধে তিনি মুখ খুলেছেন তিনি আবার রাজ্য রাজনীতিতে ক্রমশই হেভিওয়েট হয়ে উঠছেন তাঁর নানা মন্তব্যের জেরে। এবার তাঁকেই কার্যত ঝাঁটা পেটা করার নিদান দিলেন বিজেপি ঘুরে তৃণমূল ফেরত বিধায়ক। কথা হচ্ছে উত্তর ২৪ পরগনা(North 24 Pargana) জেলার বাগদার(Bagda) বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস(Biswajit Das) ও নদিয়া(Nadia) জেলার হরিণঘাটার(Haringhata) বিধায়ক তথা গায়ক অসীম সরকারকে(Asim Sarkar) নিয়ে। অসীম বুধবার বিকালে বোমা মারার হুমকি দিয়েছেন দলেরই একটি জনসভা থেকে। তার জেরে অসীমকে পাল্টা ঝাঁটা মারার হুমকি দিয়েছেন বিজেপি ফেরত বিশ্বজিৎ।
বুধবার বিকালে বিজেপির উদ্বাস্তু সেলের একটি পথসভায় যোগ দিতে বাগদায় গিয়েছিলেন হরিণঘাটার বিজেপি বিধায়ক অসীম সরকার। সেই সভাতেই তিনি রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে হুমকি দেন তৃণমূলের কর্মীদের। তিনি বলেন, ‘২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন ভুলে যাও বন্ধু। এটা ২০২২ সাল। ওই নির্বাচনে তোমরা যা করেছ, তোমরা যা করেছ পৌরসভা নির্বাচনে সে সব অতীত। তোমরা আর ভেবো না আগামীতে ভারতীয় জনতা পার্টির সৈনিকরা ঘুমিয়ে থাকবে। ওরা যদি একটা বোমা মেরে আপনাকে মারতে চায় তাহলে ১০টা বোমা মারার ক্ষমতা আছে আমাদের। আমরা বোমা মারব না, কিন্তু তোমরা মারতে এলে আমরা ছাড়ব না।’ অসীমের এই মন্তব্য ঘিরে বুধবার সন্ধ্যা থেকেই বিতর্ক শুরু হয়েছে। তাঁর এহেন উস্কানিমূলক মন্তব্যের সমর্থে বঙ্গ বিজেপিরও কোনও নেতা মুখ খোলেননি। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সংবাদমাধ্যমে অসীমের বক্তব্য নিয়ে ইতিমধ্যেই তীব্র সমালোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। তার জেরে বৃহস্পতিবার অসীম জানিয়েছেন, ‘এটা কোনও উসকানিমূলক বক্তব্য নয়। ওরা যেভাবে মেরেছে আর আবার যদি মারতে আসে তাহলে ওদের মারার মতো আমাদের ক্ষমতা অর্জন করতেই হবে। এটা বলে আমি কোনও অন্যায় করিনি।’
তবে অসীমের এই বক্তব্যের জেরে তাঁকে কার্যত ঝাঁটা পেটা করার নিদান দিয়েছেন তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার দলীয় সভাপতি তথা খাতায় কলমে এখনও বিজেপি বিধায়ক হিসাবে থেকে যাওয়া বিশ্বজিৎ দাস। তিনি জানিয়েছেন, ‘২০১৮ সালে অসীম সরকার কোথায় ছিলেন? ওঁকে তো কেউ চিনতাম না জানতাম না, কোথায় ছিলেন? উনি খুব বাজে বাজে কথা বলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় উলটো পালটা কথা বলেন। এখনও পর্যন্ত মহিলারা কেন তাঁকে ঝাঁটা পেটা করেননি বুঝি না। যার ভাষা জ্ঞান নেই বিজেপি তাঁকে সভা করতে দিচ্ছে কীভাবে? ওঁর মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে ওঁর ডাক্তার দেখানো উচিত। বাংলার সংস্কৃতি সম্পর্কে ওদের কোনও ধারণা নেই। এদের সম্পর্কে কথা বলা মানে এদের গুরুত্ব বাড়িয়ে দেওয়া।’