নিজস্ব প্রতিনিধি: গত বছরের ডিসেম্বর মাসে কলকাতা(Kolkata) ও চলতি মাসে রাজ্যের পাঁচ পুরনিগমের ভোট শান্তিতে সম্পন্ন করানোর ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা নিয়েছে রাজ্য ও কলকাতা পুলিশ(Police)। তাই আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারিতে রাজ্যের যে শতাধিক পুরসভায় ভোট হবে সেখানেও পুলিশের ওপরেই ভরসা রাখছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন(State Election Commission)। বুধবার সন্ধ্যায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাসের(Sourav Das) সঙ্গে স্বরাষ্ট্রসচিব ভগবতীপ্রসাদ গোপালিকা, রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্যের এক বৈঠকে ঠিক হয়, ভোটের নিরাপত্তায় ৪৪ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হবে। কিন্তু তারপরেও বৃহস্পতিবার পুরনির্বাচনের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী(Central Force) চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির এই আবেদন গ্রহণও করেছে দেশের শীর্ষ আদালত। আগামিকাল এই মামলার শুনানি হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
এদিন বিজেপির তরফে দায়ের হওয়া ওই মামলায় দাবি করা হয়েছে, কলকাতা সহ রাজ্যের ৫ পুরনিগমের কার্যত ভোট লুঠ হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ নাকি ভোটই দিতে পারেনি। বুথ(Booth) থেকে মেরে ভোটারদের(Voters) নাকি তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। অনেকেই নাকি বুথে গিয়ে শুনেছেন তাঁদের ভোট পড়ে গিয়েছে। মৃত ভোটারদের ভোটও যে পড়েছে তা এই মামলায় দাবি করা হয়েছে। আর সবটাই করা হয়েছে কলকাতা ও রাজ্য পুলিশের সামনেই কার্যত তাঁদের নাকের ডগাতেই। এই অবস্থায় যদি শতাধিক পুরসভায় পুলিশ দিয়েই ভোট করানো হয় তাহলে গণতন্ত্রের(Democracy) হত্যা করা হবে। পুলিশকে সামনে রেখেই ভোট লুঠ করা হবে। বুথের পর বুথ দখল করে ছাপ্পা দেওয়া হবে। বিজেপির তরফ থেকে এই সব দাবি করা হলেও এই মামলাতে রাজ্য সরকারকেও যুক্ত করতে পারে সুপ্রিম কোর্ট। তবে যেহেতু হাতে খুব কম সময় রয়েছে তাই সুপ্রিম রায়ের(Supreme Court Of India) কোনও প্রভাব এই পুরনির্বাচনে পড়বে কিনা তা নিয়ে খটকা থেকেই যাচ্ছে।
উল্লেখ্য বিজেপির তরফে আগে রাজ্যের এই শতাধিক পুরসভার নির্বাচনের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টেই মামলা দায়ের করা হয়েছিল। কিন্তু সেই মামলাতে বুধবারই হাইকোর্ট জানিয়ে দেয়, পুরনির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট হবে নাকি পুলিশ দিয়ে ভোট হবে তা রাজ্য নির্বাচন কমিশনকেই ঠিক করতে হবে। কিন্তু এখন বিজেপি হাইকোর্টের এই রায়কেই কার্যত চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বরাস্থ হল। উল্লেখ্য, গতকাল সন্ধ্যায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, পুরভোটে অশান্তি এড়াতে ৪৪ হাজার পুলিশ মোতায়েন করার পাশাপাশি ইএফআর(EFR), এসটিএফ(STF), কম্যান্ডো ও র্যাফও(RAF) মোতায়েন করা হবে। প্রতি জেলায় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে নজরদারির জন্য ডিআইজি পদমর্যাদার আধিকারিককে দায়িত্ব দেওয়া হবে। এখন দেখার বিষয় রাজ্য নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে সুপ্রিম কোর্ট কতখানি সমর্থন করে।