এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

তৃণমূলকে টেক্কা দিতে পুজোর দখল নিতে ঝাঁপাচ্ছে বিজেপি

Courtesy - Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: বছর ঘুরলেই লোকসভার নির্বাচন(General Election 2024)। সেখানে আবার শাহি নির্দেশ মেনে ৩৫টি আসন দখলের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু যারা নিজেদেরই দখলে থাকা বিধানসভা কেন্দ্র ধরে রাখতে পারে না, তাঁরা ৩৫টি লোকসভা কেন্দ্র দখল করবে এটা একটা বাচ্চা ছেলেও জোর গলায় দাবি করবে না। অততব একমাত্র রাস্তা হিন্দুত্বে সুড়সুড়ি দিয়ে ভোট আদায় করা। আর সেই লক্ষ্যেই বঙ্গ বিজেপির(Bengal BJP) তরফে রাজ্যের প্রতিটি জেলা কমিটিগুলির কাছে গোপন সার্কুলার পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, বিজেপি নেতাদের নিয়ে দলের শর্ত মেনে যে সব পুজো কমিটি দুর্গাপুজো(Durga Puja) করবে, সেইসব ক্লাব বা সংগঠনকে বিজেপির তরফে থেকে ১ লক্ষ টাকা করে আর্থিক অনুদান(Financial Donations) দেওয়া হবে। এই আর্থিক অনুদানের ব‌্যবস্থা দলের কেন্দ্রীয় নেতারা করবেন। বিজেপির শর্ত মেনে যারা পুজো করতে রাজি হবে সেই সব পুজো কমিটির নাম দ্রুত পাঠাতেও বলা হয়েছে বলে বঙ্গ বিজেপি সূত্রে খবর।

তা পুজোর জন্য লাখ টাকা অনুদানের পিছনে কী কী শর্ত রেখেছে পদ্মশিবির? জানা গিয়েছে মূলত ২টি শর্ত দেওয়া হয়েছে। এক, পুজোর কমিটিতে স্থানীয় পদ্মশিবিরের নেতাদের রাখতে হবে এবং দুই, পুজো মণ্ডপের আশপাশের এলাকা প্রধানমন্ত্রীর ছবি দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের প্রচার করতে হবে। মূলত, এই দু’টি শর্ত মানলে সেই পুজোর উদ্যোক্তাদের ১ লক্ষ টাকা কিংবা তারও বেশি আর্থিক অনুদান দেওয়া হবে। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) রাজ্য সরকারের তরফে রাজ্যের পুজো কমিটিগুলিকে ৭০ হাজার টাকা দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তা টেক্কা দিতেই পদ্মশিবিরের এই পদক্ষেপ। এর পাশাপাশি দলের প্রতিটি মণ্ডল কমিটিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, পুজোর মরশুমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবি দেওয়া হোর্ডিং প্রতি বুথে কমপক্ষে ৩টি করে টাঙানোর ব্যবস্থা করতে হবে। চন্দ্রযানের সাফল্য, G20 থেকে শুরু করে গ‌্যাসের দাম কমার বিষয়ের হোর্ডিং বানিয়ে বিভিন্ন জনবহুল এলাকায় বা পুজো মণ্ডপের সামনে টাঙাতে হবে। প্রতিটা হোর্ডিংয়েই থাকবে প্রধানমন্ত্রীর ছবি। মোদি সরকারের সাফল‌্য তুলে ধরতে এমন জায়গায় হোর্ডিং দেওয়ার কথা বলা হয়েছে, যাতে দর্শনার্থীদের সহজেই চোখে পড়ে।

কিন্তু এইসব শর্ত ও নির্দেশ নিয়ে এখন প্রশ্ন উঠেছে বঙ্গ বিজেপির অন্দরেই। দলের একাংশের নেতার দাবি, বাংলার মাটিতে প্রায় সব জায়গায় দুর্গাপুজো হয় পারিবারিক উদ্যোগ কিংবা ক্লাবের মাধ্যমে। কোথাও কোথাও সর্বজন্নীন পুজো হয় ট্রাস্টের মাধ্যমে বা কোনও কমিটির মাধ্যমে। এছাড়া পুজো হয় পারিবারিক ভাবে ও আবাসন ভিত্তিক ভাবে। কিন্তু এইসব জায়গায় হয় রাজনীতি অনুপ্রবেশ করতেই দেওয়া হয় না বা শাসক দলের স্থানীয় নেতারাই মূল মাথা হয়ে থাকেন। এই অবস্থায় নতুন করে পুজো কোথায় পাওয়া যাবে যেখানে বিজেপি মাথা গলাতে পারবে? সূত্রে দাবি, এই প্রশ্ন যে উঠতে পারে সেটা ধরে নিয়েই দলের কেন্দ্রীয় নেতারা দাওয়াই দিয়ে দিয়েছেন। তাঁরা পরামর্শ দিয়েছেন, এই ধরনের সব কমিটি, ক্লাব, সমিতি ও ট্রাস্টিতে কিছু বিক্ষুব্ধ লোক থাকেই। তাঁদেরই হাত করে নতুন পুজো শুরু করতে হবে। অর্থাৎ সরাসরি একটি পুজো ভেঙে দুটি পুজো করার রাস্তা দেখাচ্ছেন তাঁরা। যদিও বঙ্গ বিজেপির আদি নেতাদের দাবি, এভাবে এগোলে দলের ভাবমূর্তি আরও খারাপ হবে। পরিবর্তে বামেরা যেমন পুজোর বাজারে বইয়ের দোকান খোলে সেই ধরনের শিবিরের আয়োজন করাটা ভাল হবে। কিন্তু এই পরামর্শ শুনবে কে? যারা বাংলা ভাঙার ষড়যন্ত্রে নিত্যদিন লিপ্ত, তাঁরা এই ভাঙাভাঙি ছাড়া আর কীই বা করতে পারবেন!

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

১০০ টাকা ঘুষ দিয়ে বাংলার মহিলাদের অপমানিত করা হচ্ছে,  শাহকে কটাক্ষ ডেরেকের

নির্বাচন শেষে রাজনৈতিক দলের ব্যানার পোস্টার খুলতে ব্যস্ত কর্মীরা

হলদিয়াতে ভোট প্রচারে গিয়ে বিয়ের সম্বন্ধর প্রস্তাব পেলেন দেবাংশু , কিন্তু এখনই বিয়েতে নারাজ

কৃষ্ণনগরে স্ট্রং রুমের নজরদারিতে ঢিলে ঢালা ভাব, আসানসোলে বজ্র আঁটুনি

নামখানা এলাকায় নদী বাঁধে বড় ফাটল, বাঁধ তৈরীর নামে দুর্নীতির অভিযোগ

এগরাতে বিজেপি – তৃণমূল সংঘর্ষ ,অবরোধ ,ঘটনাস্থলে পুলিশ

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর