নিজস্ব প্রতিনিধি: লোকসভা নির্বাচনে(General Election 2024) বাংলায়(Bengal) ৪২টি আসনের মধ্যে ৩৫টিতে জয়লাভের লক্ষ্যমাত্রা দিয়ে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ(Amit Shah)। যদিও সেই লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেক ছোঁয়াও যাবে কিনা তা নিয়ে ঘোর সন্দেহ রয়েছে বাংলারই পদ্মশিবিরের নেতাদের। কেননা দলের ক্রমবর্ধমান কোন্দল, জনপ্রিয়াত হ্রাস, কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ রাজ্য রাজনীতিতে রীতিমত কোণঠাসা করে দিয়েছে বঙ্গ বিজেপিকে। দলের অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণে রাজ্যের বহু জায়গায় বিজেপির নিচুতলার কর্মীদের একাংশ সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয় হয়ে গিয়েছেন বলেও দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের কাছে রিপোর্ট এসেছে। এবার এই বসে যাওয়া কর্মীদের শূণ্যস্থান পূরণের জন্য বাংলার বুকে তৃণমূল(TMC) বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির নীচুতলার কর্মীদের কাছে টানতে চাইছে বিজেপি(BJP)। যদিও এই পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করলেও শাহি লক্ষ্যমাত্রা ছোঁয়া যাবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ থাকছেই।
জানা গিয়েছে, বঙ্গ বিজেপির নীচুতলার ক্ষমতা বাড়াতে পদ্মশিবিরের নজর থাকছে বাম ও কংগ্রেসের নীচুতলার কর্মীদের দিকে। একইসঙ্গে বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মীদেরও টানতে চাইছেন তাঁরা। বঙ্গ বিজেপির নেতাদের দাবি, তৃণমূল, সিপিএমের অনেক নেতাকর্মীই নাকি তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। তাঁরা নাকি বিজেপিতে যোগদান করতে চাইছেন। অন্য দল থেকে বিজেপিতে এসে কেউ যদি সততার সঙ্গে পার্টির কাজ করতে চান, তাহলে অবশ্যই তাঁকে স্বাগত জানানো হবে। কিন্তু শুধুই নিচুতলার কর্মীদের। নেতাদের আপাতত No Entry। বিশেষত তথাকথিত হেভিওয়েটদের জন্য তো দরজা একদমই খোলা হচ্ছে না। যদিও প্রশ্ন থাকছে, একুশের ভোটের পর থেকে ধারাবাহিক ভাবে যে বিজেপি বাংলার মাটিতে সব নির্বাচন হেরে চলেছে সেই দলে পা রাখতে আদৌ কতজন রাজি হবে।
বিজেপির কেন্দ্রীয় স্তরের নেতৃত্বের নির্দেশে বাংলায় দলের তৃণমূলস্তরের সংগঠন বৃদ্ধিতেও বিশেষভাবে জোর দেওয়া হচ্ছে। লোকসভা নির্বাচনে ভালো ফল করতে হলে যে দলের তৃণমূলস্তরের সংগঠনকে মজবুত করতে হবে, তা বিলক্ষণ জানেন বিজেপির শীর্ষ নেতারা। দলের নিচুতলার নেতাকর্মীদের একাংশের ক্ষোভ-অসন্তোষ তাই ভোটের আগে বিজেপি নেতৃত্বকে উদ্বেগে রাখছে। আবার ২০২১ সালের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে ভিন দল থেকে একাধিক হেভিওয়েট নেতাকে বিজেপিতে যোগদান করিয়েও যে কাজের কাজ কিছু হয়নি, তাও অজানা নয় দলীয় নেতৃত্বের। এই পরিস্থিতিতে তাই দলবদলের স্ট্র্যাটেজি পাল্টেই মুখরক্ষার উপায় খুঁজছে বঙ্গের গেরুয়া শিবির।