এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

মমতায় আস্থা পাহাড়বাসীর, গুরুংয়ে অনাস্থা বিজেপির

নিজস্ব প্রতিনিধি: পাহাড়(Darjeeling Hill) বাংলার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। তাই নতুন করে বাংলা(Bengal) ভাগ হতে তিনি দেবেন না প্রকাশ্যে একাধিকবার এই বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। একই সঙ্গে বার বার পাহাড়ে গিয়ে সেখানকার মানুষের বিশ্বাস অর্জন করেছেন। সেখানকার উন্নয়নে জোর দিয়েছেন। সুসম্পর্ক গড়ে তুলেছেন অনীত থাপার(Anit Thapa) সঙ্গে। জোর দিয়েছেন পাহাড়ে শান্তি ও উন্নয়নের ধারা বজায় রাখার ক্ষেত্রেও। আর তাই পাহাড়ের মানুষও তাঁর প্রতি আস্থা রেখেছেন। পুরসভা থেকে জিটিএ মায় হালের পঞ্চায়েত নির্বাচনেও তাঁরা খালি হাতেই ফিরিয়ে দিয়েছেন বিচ্ছিন্নতাবাদীদের। ভোট দিয়েছেন শান্তি ও উন্নয়নের স্বপক্ষে। বিচ্ছিন্নতাবাদীদের প্রধান মুখই এখনও হয়ে আছেন বিমল গুরুং(Bimal Gurung)। আর তাঁর দলবলকে পিছন থেকে মদত দিয়ে চলেছে বিজেপি(BJP)। কিন্তু পাহাড়ের জনতার কাছে গুরুংয়ের আর কোনও কদর না থাকায় এখন দিল্লির পদ্ম নেতারাও বিন্দুমাত্র পাত্তা দিচ্ছেন না গুরুংদের।

আরও পড়ুন বাংলায় শিশুদের অপুষ্টির হার ১০ মাসে কমল ৪ শতাংশ

লোকসভা নির্বাচনের মুখে ফের গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে সোচ্চার হয়েছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে দিল্লিতে ধর্না দিচ্ছেন গুরুং আর তাঁর সঙ্গীরা। শুক্রবার থেকেই দিল্লির যন্তরমন্তরে তিনদিনের ধর্না অবস্থান কর্মসূচিতে শামিল হয়েছিলেন তাঁরা তারা। রবিবার তা শেষ হয়েছে। মোর্চার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, নিদেনপক্ষে বিজেপির কয়েকজন শীর্ষ নেতার সঙ্গে সাক্ষাতের চেষ্টা করা হবে। প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার রাতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লার সঙ্গে তাঁদের সাক্ষাৎ হয়েছে বলে এর আগে দাবি করেছেন মোর্চা নেতৃত্ব। কিন্তু এই সফরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে মরিয়া গুরুং শিবির। যদিও শাহি সাক্ষাতের কোনও সম্ভাবনাই দেখা যাচ্ছে না। এমনকি বিজেপির কোনও চুনোপুঁটি নেতাই গুরুংদের সেভাবে পাত্তা দিচ্ছেন না। রাজধানীর রাজনীতির বাজারে কার্যত বেইজ্জত হতে হচ্ছে বাংলার বিচ্ছিন্নতাবাদীদের।  

আরও পড়ুন কেন্দ্র সরকারের আর্থিক সাহায্য পেতে চলেছে বাংলার এই হাসপাতাল

ধর্না আন্দোলনের পর সোমবার বিকাল পর্যন্ত কেন্দ্রের কোনও শীর্ষ নেতা-মন্ত্রী এসে না গুরুংদের সঙ্গে দেখা করেছেন না কোনও কথা বলেছেন। যার ফলে রীতিমতো দিশাহারা গুরুং ও তাঁর দল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতারা। আগামী ১১ আগস্ট শেষ হবে সংসদের বাদল অধিবেশন। ফলে বাংলা ভেঙে আলাদা রাজ্যের দাবিদাওয়া কেন্দ্রের কাছে পেশ করতে আপাতত তাঁদের ভরসা সংসদের চলতি অধিবেশনের শেষ সপ্তাহ। যদিও সাক্ষাতের আশা ক্ষীণ। সব থেকে বড় কথা কেন্দ্র সরকারই হোক বা দিল্লির বিজেপির নেতারা, সকলের কাছেই এটা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে যে, পাহাড়ে আর কোনও প্রভাবই নেই গুরুংয়ের। মানুষ তাঁর দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। একইসঙ্গে তাঁরা এটাও বুঝতে পারছে পাহাড়ে বিজেপির মৌরসিপাট্টার দিনও এবার শেষের পথে। ২৪’র ভোটেও সেখানে তাঁদের আর জয়ের কোনও সম্ভাবনা নেই। পাহাড় এখন অনীত থাপার হাতে এবং অবশ্যই মমতাময়ী।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

কোন্নগরে বৃদ্ধার মৃতদেহ আগলে বসে স্ত্রী-মেয়ে, এলাকায় ছড়াল দুর্গন্ধ

তিন দিন ধরে আত্মজার মৃতদেহ আগলে, অবশেষে বুধবার মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন গর্ভধারিনী

তৃণমূল-কংগ্রেসের মধ্যে সংঘর্ষ, চলল গুলি ! ভোটের আগেই উত্তপ্ত খড়গ্রাম   

রায়গঞ্জে ভোঁতা হল ভিক্টর অস্ত্র, সংখ্যালঘুরা জোড়াফুলেই

‘চোরে চোরে মাসতুতো ভাই’, অধীরকে তোপ অভিষেকের

‘ইন্ডিয়া’র বড় গদ্দার উনি, সকালে বিজেপির পা ধরেন, বিকেলে সিপিএমের পা ধরেন’, আক্রমণ মমতার

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর