এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

কুড়মিদের আন্দোলন অক্সিজেন দেয়নি বিজেপিকে, চিন্তায় পদ্মনেতারা

নিজস্ব প্রতিনিধি: যে হিসাব কষে পর্দার পিছন থেকে এবং পরে প্রকাশ্যেই জঙ্গলমহলের(Junglemahal) বুকে কুড়মিদের(Kurmi Movement) মদত দিচ্ছিল গেরুয়ায় শিবির, সেই মদতের কার্যত কোনও ফসলই তুলতে পারেনি পদ্ম শিবির। পুরুলিয়া(Purulia) হোক কী বাঁকুড়া(Bankura), ঝাড়গ্রাম(Jhargram) হোক কী পশ্চিম মেদিনীপুর(Paschim Midnapur) সর্বত্রই হয়েছে ভরাডুবি। একই সঙ্গে সর্বত্রই তৃণমূলের(TMC) জয়যাত্রা। এমনকি ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি(BJP) এই ৪ জেলার যে সব গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদে ভাল ফল করেছিল এবার সেখানে সেখানে মুখ থুবড়ে পড়তে হয়েছে পদ্ম শিবিরকে। এদিকে বছর ঘুরলেই লোকসভার নির্বাচন। যা পরিস্থিতি তাতে এই ৪ জেলার ৫টি লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির ভরাডুবি অবশ্যম্ভাবী আগামী লোকসভা নির্বাচনে।

আরও পড়ুন ‘খেলা হবে’ প্রকল্পের মজুরি খুব খারাপ হবে না, নূন্যতম ২৩০টাকা

দীর্ঘদিন ধরে জঙ্গলমহলের রাজনীতিতে কুড়মিদের প্রভাব ও প্রতিপত্তি ছিল প্রশ্নাতীত। প্রায় সব দলই কুড়মিদের ভোট পেতে অকাতরে কুড়মি প্রার্থী দিয়ে গিয়েছিল। এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে সেই প্রথায় একটা বড়সড় ধাক্কা দিয়ে দিয়েছে। প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে, জঙ্গলমহলে কুড়মি ভোট কোনও ফ্যাক্টরই নয়। আর তাই রাতারাতি জঙ্গলমহলের রাজনীতিতে সব রাজনৈতিক দলের কাছেই কদর কমে গিয়েছে কুড়মিদের। বিজেপির কাছেও তাঁদের কদর কমেছে। কেননা তাঁদের আন্দোলন ও দাবিদাওয়া এবং ভোটে আলাদা করে লড়াই করার সিদ্ধান্ত সবই একধার থেকে তৃণমূলকেই ফায়দা এনে দিয়েছে। বিজেপি কোথাও দাঁত ফোটাতে পারেনি। পুরুলিয়া লোকসভা কেন্দ্রে দেখা যাচ্ছে তৃণমূল বিজেপিকে পিছনে ফেলে দিয়েছে। একই অবস্থা মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রেও। বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রে সেই ব্যবধান কিছুটা ভদ্রস্থ হলেও সেই জেলারই ৪টি ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতিতে একটি আসনেও জিততে পারেনি বিজেপি। অথচ এই ৪ জেলাতেই বিজেপি পর্দার পিছন থেকে অকাতরে কুড়মিদের মদত দিয়ে গিয়েছে। বিনিময়ে কিছুই জোটেনি।

আরও পড়ুন কলকাতার NRS Hospital-এ আগুন আতঙ্ক

এর পাশাপাশি জঙ্গলমহলের বুকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির মুখ থুবড়ে পড়ার জন্য আরও একটি কারণ উঠে এসেছে। আর তা হল অতি মোদি নির্ভরতা। গত লোকসভা ভোটে মোদি ম্যাজিকে ভর করে যে ঝড় তুলতে পেরেছিল বিজেপি, সেটা ধরে রাখা এবং এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার মতো সংগঠন গড়ে তুলতে পারেননি নেতারা। রাজনৈতিক মহলের মতে, বিধানসভা নির্বাচনে কিছুটা শক্তি সঞ্চয় করে লড়াই দেওয়ার চেষ্টা করলেও, বিজেপির ডবল ইঞ্জিন সরকার গড়ার স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে। তারপর থেকেই এরাজ্যে শুধু রক্তক্ষরণের মধ্য দিয়েই গিয়েছে বিজেপি। বিধানসভা নির্বাচনের আগে যেটুকু জনসমর্থন আদায় করেছিল, তাও যে আর নেই, তা পঞ্চায়েতের ভোট শতাংশেই স্পষ্ট। মমতার জনমুখী প্রকল্পই বাংলার জনসমর্থন আদায় করে নিয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই এখন ভরাডুবির বাস্তবায়নেরই শুধু অপেক্ষা পদ্মশিবিরে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

‘বেশ  করেছে দাঁড়িয়েছে’, রাহুলের পাশে দাঁড়ালেন মমতা

প্রচণ্ড গরমে শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারির পশুপাখিদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা

যমজ ভাইয়ের ‘ডবল সাফল্য’! মাধ্যমিকে একই নম্বর পেয়ে তাক লাগাল দুই ছাত্র

চাকরিহারাদের পাশে দাঁড়িয়ে মোদিকে পাল্টা বিঁধলেন মমতা

মালদায় প্রচারে বেরিয়ে দেবের হেলিকপ্টারে লাগল আগুন

চাকরি বাতিলের জেরে একাধিক  স্কুলে বন্ধের মুখে বিজ্ঞান বিভাগ

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর