নিজস্ব প্রতিনিধি: জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায় বসে প্রথম দিনে চোখ ভর্তি জল নিয়ে বাড়ি ফিরতে হল কাটোয়ার রাজিফা খাতুনের। শ্রুতি লেখক না পাওয়ায় দৃষ্টিহীন রাজিফাকে প্রথম পরীক্ষার দিনে সাদা খাতা জমা দিয়ে বাড়ি ফিরতে হল। এই ঘটনায় ওই ছাত্রীর স্কুলের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে।
মাধ্যমিক পরীক্ষায় দৃষ্টিহীন পরীক্ষার্থীদের জন্য শ্রুতি লেখকের ব্যবস্থা করে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। কিন্তু তার জন্য সংশ্লিষ্ট স্কুলের তরফে পর্ষদকে জানাতে হয় আগে। অভিযোগ, রাজিফার ক্ষেত্রে তার স্কুল বিষয়টি পর্ষদকে জানায়নি। এমনকি রাজিফার তরফে তার দৃষ্টিশক্তির প্রতিবন্ধকতা সম্পর্কিত শংসাপত্র জমা দেওয়া থাকলেও স্কুল কর্তৃপক্ষ শ্রুতি লেখক দেওয়ার জন্য কোনও উদ্যোগ নেয়নি বলে অভিযোগ। কিন্তু কেন রাইটারের ব্যবস্থা করা হল না তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়ার অর্জুনডিহি গ্রামের বাসিন্দা রাজিফা৷ বাবা নজর আলির সেজ মেয়ে সে৷ জন্ম থেকেই দু’চোখের দৃষ্টি শক্তির সমস্যা রয়েছে রাজিফার। তার ৯০ শতাংশ প্রতিবন্ধী সার্টিফিকেটও রয়েছে। আলমপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে পাঠরত রাজিফা। এই স্কুল থেকেই এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে সে। কাটোয়ার পঞ্চাননতলা উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে তার সিট পড়েছে।
রাজিফা জানায়, ‘আমি শ্রুতিলেখক দেওয়ার কথা বলেছিলাম। কিন্তু দেওয়া হয়নি। শুনছি শ্রুতিলেখকের জন্য আগে থেকে আবেদন করতে হয়। কিন্তু বিষয়টি আমার জানা ছিল না।’ রাজিফার বাবা নজর আলির অভিযোগ, ‘আমার মেয়ের প্রতিবন্ধী সার্টিফিকেট স্কুলে জমা দেওয়া আছে। কখন কিভাবে আবেদন করতে হয় সেটা আমাদের জানা ছিল না। স্কুলেরই বলে দেওয়া উচিত ছিল।’ অন্যদিকে রাজিফা পরীক্ষা দিতে না পারলেও দায় ঝেড়ে ফেলতে মরিয়া তার স্কুল আলমপুর উচ্চবিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সাফাই, ‘যথা সময়ে যদি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেওয়া হত তাহলে আমরা ব্যবস্থা করে দিতাম।’