নিজস্ব প্রতিনিধি: আলিপুরদুয়ারে এক স্কুলছাত্রের গলাকাটা দেহ উদ্ধার হয়েছিল দিন কয়েক আগে। ঘটনার তদন্তে নেমে প্রথমে পুলিশ ধন্ধে ছিল খুনের কারণ সম্পর্কে। এরপরই আলিপুরদুয়ারের এসডিপিও দেবাশিষ চক্রবর্তীর নেতৃত্বে তৈরি হয় বিশেষ টিম। শুরু হয় জোরদার তদন্ত আর তাতেই উঠে এল এক ভয়ানক তথ্য। রীতিমতো তন্ত্রসাধনার জন্যই বলি হতে হয়েছিল ওই মনোজ বর্মণ নামে ওই স্কুলপড়ুয়াকে। এমনটাই জানতে পারছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। আপাতত দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মূল অভিযুক্ত এখনও পলাতক।
২৩ নভেম্বর আলিপুরদুয়ার-১ নম্বর ব্লকের মেঝবিল এলাকায় রাসমেলা দেখতে গিয়েছিল স্কুলছাত্র মনোজ। সেখান থেকেই নিখোঁজ হয়ে যায় সে। পরদিনই বুড়িতোর্ষা নদীর চড়ে উদ্ধার হয় স্কুলছাত্রের গলাকাটা দেহ। ঘটনার তদন্তে নেমে বিশেষ তদন্তকারী দল আটক করে বাবলু বাগচীকে নামে এক ব্যক্তিকে। তাঁকে জেরা করেই উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। এই খুনের পিছনে তন্ত্রসাধনার যোগ সম্পর্কে নিশ্চিন্ত হয় পুলিশ। মহকুমা পুলিস আধিকারিক দেবাশিষ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, মানসিক অশান্তি থেকে মুক্তি পেতেই এই খুন। মূল অভিযুক্ত নিহত স্কুলছাত্রের প্রতিবেশী সুনীল বর্মন পলাতক। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চলছে।