নিজস্ব প্রতিনিধি: ফের এক ছাত্রকে অপহরণ করে খুন করার অভিযোগ উঠল। বীরভূমের খয়রাশোল থানার আহমেদপুর গ্রামের বাসিন্দা ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রকে অপহরণ করে প্রথমে মুক্তিপণ চাওয়া হয়। তারপর তাঁকে খুন করা হয়। মৃত ছাত্রের নাম সৈয়দ সালাউদ্দিন। রবিবার বীরভূমের চৌপাহারি জঙ্গল থেকে সালাউদ্দিনের দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মল্লারপুর থানার পুলিশ। মৃত ছাত্রের বন্ধু সেখ সালমান এই খুন করেছে বলে দাবি পুলিশের।
পুলিশ সূত্রে খবর, সৈয়দ সালাউদ্দিনকে গলা কেটে খুন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় মৃত ছাত্রের এক বন্ধুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃত যুবকের নাম সেখ সালমান। পুলিশের দাবি, সেখ সালমান ওই ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রকে খুন করেছে। অভিযুক্ত যুবক শনিবার সৈয়দ সালাউদ্দিনকে ডেকে নিয়ে যায় জঙ্গলে, সেখানে দুজনে মিলে মদ খাওয়ার পর ছাত্রকে খুন করে সে। ঘটনাস্থলে থেকে বিরিয়ানির প্যাকেট, চিপস ও মদের বোতল উদ্ধার হয়েছে।
মৃত ছাত্রের মা বসিরা বেগম জানান, শনিবার গভীর রাতে সালাউদ্দিনের বাবার ফোনে একটি ফোন আসে। সেই ফোনে জানানো হয় সালাউদ্দিনকে অপহরণ করা হয়েছে। ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিলে তবেই তাকে ছাড়া হবে বলে অপহরণকারী ফোনে জানায়। তবে পুলিশকে জানালে ছেলেকে পাওয়া যাবে না বলেও হুমকি দেয় অভিযুক্ত। এই ফোন পাওয়ার পর মৃত ছাত্রের বাবা তড়িঘড়ি পুলিশের দ্বারস্থ হন। ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে ইলামবাজার (Ilambazar) থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়ার (Engineering Student) বন্ধু সেখ সলমানকে প্রথমে আটক করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর পুলিশ বুঝতে পারে সেইই খুন করেছে সালাউদ্দিনকে।পরে তাকে গ্রেফতার করে তদন্তকারীরা।