নিজস্ব পতিনিধি: ভিন রাজ্যে কাজে গিয়ে বাংলার যুবকের রহস্যমৃত্যু। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে নদিয়া জেলার শান্তিপুরে। পুণের একটি হোটেলের শৌচাগার থেকে উদ্ধার হয় যুবকের ঝুলন্ত দেহ। প্রেমে টানাপোড়েনের জেরেই আত্মহত্যা নাকি অন্য কোনও কারণে মৃত্যু তা নিয়ে তৈরি হয়েছে রহস্য।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে নদিয়ার শান্তিপুরের বাসিন্দা রাকেশ ঘোষ পুণের একটি হোটেলে কাজে গিয়েছিলেন। হোটেলের শৌচাগার থেকে ২০ বছর বয়সী রাকেশের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। নদিয়া জেলার শান্তিপুর পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে থাকতেন রাকেশ। মাত্র ১০ দিন আগে পুণের ওই হোটেলে কাজে করতে যান যুবক। হঠাৎ বৃহস্পতিবার সকালে রাকেশের মৃত্যু খবর আসে তার পরিবারের কাছে। এদিন সকাল ১০টা ৩০ নাগাদ পরিবারের সদস্যদের কাছে যুবকের দেহ উদ্ধারের খবর এলে মাথায় আকাশ ভেঙে পরে পরিবারের সদস্যদের। মৃত যুবকের বাবা প্রেমানন্দ ঘোষ বলেন, ‘আমি সবসময়ই চাষের কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকি। ছেলের সঙ্গে সেভাবে আমার কথা হত না। ও এমনটা করতে পারে এটা ভাবতে পারিনি।’
মৃত রাকেশের পরিজনদের একাংশের দাবি, রাকেশের বাড়ি যেখানে তার পাশের গ্রামের একটি মেয়ের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মাঝেমধ্যে দু’জনের মধ্যে অশান্তি লাগত। আর সম্পর্কে অশান্তি ঝামেলা নিয়ে মানসিক অবসাদে ভুগতেন তিনি। সেই অবসাদ থেকে মুক্তি পেতেই পুণের হোটেলে কাজে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেখানে গিয়ে যে এমন ঘটনা ঘটবে তা ভাবতে পারছেন না প্রতিবেশীরা। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ১০ এপ্রিল পুণেতে যান রাকেশ। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ফোনে নিয়মিত কথা হতো তাঁর। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর মা রাকেশকে ফোন করেন। কিন্তু ফোন করলেও ওই প্রান্ত থেকে কোনও সাড়া পাননি তিনি। তার কিছুক্ষণ পর পুণে থেকে দেহ উদ্ধারের খবর আসে শান্তিপুরে। এর পর ছেলের মৃতদেহ ফেরানোর জন্য শান্তিপুর থানার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে রাকেশের পরিবার।